আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকাশ্য ভর্ৎসনায় কাউন্সিলার সহ জনপ্রতিনিধিদের চাপ বাড়লেও খুশি পানিহাটির বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, পরিষেবা নিয়ে কাউন্সিলারদের কোনও হেলদোলই নেই। তাঁরা ক্ষমতার লড়াইয়ে মত্ত। চেয়ারম্যান পদ দখলের লড়াইয়ে শহরবাসীকে দাবার বোড়েতে পরিণত করা হয়েছে। কেউ কেউ এই অচলাবস্থা চালিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। এমনকী মন্ত্রীর নির্দেশেও কাজ হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পানিহাটি পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ সমস্যা শুরু হয়। রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দারা নির্দিষ্ট কিছু দাবিতে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করে দেন। ফলে কয়েক মাসের মধ্যে পানিহাটি শহর আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে সরস্বতী পুজোর দিন থেকে কেএমডিএ পানিহাটির আবর্জনা ধাপার মাঠে নিয়ে যাওয়া শুরু করে। কিন্তু তাতেও সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। ওই অস্থায়ী ব্যবস্থা এখনও চলছে। আজও শহরের অলিগলি, ফাঁকা জমি ও গঙ্গার পাড় ভরে রয়েছে জঞ্জালে। এর পাশাপাশি চেয়ারম্যান পরিবর্তনের দাবিতে গত ছ’মাস ধরে চলছে তৃণমূলের কাউন্সিলারদের চুলোচুলি। এছাড়া, বর্ষায় জল জমা, পানীয় জলের সঙ্কট, অন্ধকার রাস্তাঘাট সহ বহু সমস্যায় জর্জরিত পানিহাটি। নাগরিক পরিষেবা কার্যত ভেঙে পড়েছে। এই আবহে গত ১৫ জুন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পানিহাটি এসে সাংসদ সৌগত রায় ও বিধায়ক নির্মল ঘোষকে নিয়ে সমস্ত কাউন্সিলার ও সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে বোর্ড মিটিং ডাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন বড় নেতারা। গত শনিবার সেই বোর্ড মিটিংয়ের আগে শাসক দলের প্রভাবশালী নেতাদের কথা মানতে না পেরে এগজিকিউটিভ অফিসারই পদত্যাগ করতে চেয়ে চিঠি দেন। বোর্ড মিটিংয়ে উন্নয়নমূলক আলোচনার পরিবর্তে চেয়ারম্যান বদলের প্রসঙ্গ ওঠে। তৃণমূল সূত্রের খবর, পানিহাটির এক প্রভাবশালী নেতার ছেলেকে চেয়ারম্যান করা নিয়ে আকচাআকচির জেরেই শহরজুড়ে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে বৈঠকে এই প্রকাশ্য ভর্ৎসনার বিষয়ে পানিহাটির চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সঠিক কথা বলেছেন। কেউ কেউ নাগরিক পরিষেবা দিতে ভুলে গিয়েছেন বলেই আজকে এই পরিস্থিতি। আশা করছি, আগামী দিনে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করে মানুষের পরিষেবা পাওয়ার অধিকার সুনিশ্চিত করা যাবে।’