যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
এনিয়ে তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি ও বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, কমিশনের কাজ কমিশন করেছে। মানুষের কাজ মানুষ করবে। আমরা চাই, মানুষ নির্ভয়ে তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুন। হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, তাঁরা দু’টি আসনেই তৃণমূলকে জেতাবেন। আরও বেশি বাহিনী দিলেও কোনও অসুবিধা নেই। অন্তত হারের পর বাম ও বিজেপি’র প্রার্থীরা বাহুবল ব্যবহারের অভিযোগ তুলতে না পারেন। বিজেপি’র রাজ্যনেতা স্বপন পাল বলেন, কমিশন জানে কেমন করে হুগলিতে নির্বাচন হয় এবং তৃণমূল কীভাবে জেতে। ভোট মানুষের অধিকার। সেই অধিকার রক্ষায় কমিশন সদর্থক পদক্ষেপ করেছে। আমরা চাই, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহার করুক কমিশন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, কমিশন কী ভেবে কী করছে, সেটা তারাই জানে। আমরা চাই, মানুষ নিজের ভোট নিজে দিন। সেটা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ হোক, সেটাই আমাদের একমাত্র দাবি।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিস ব্যবস্থার নিরিখে হুগলি জেলাকে ভাগ করে বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সেই অনুযায়ী, চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটের জন্য ৬০ কোম্পানি ও হুগলি গ্রামীণ পুলিসের জন্য ১৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ করা হয়েছে। পঞ্চম দফায় উত্তর ২৪ পরগনার একাংশ, হাওড়া ও হুগলিতে ভোট হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে হুগলিতে। হুগলি জেলার জন্য রাজ্য পুলিসও সর্বাধিক থাকছে। কমিশনের পরিসংখ্যান অনুসারে, চন্দননগর পুলিস কমিশনারেট এলাকায় ২,৮৪২ জন ও গ্রামীণে ৬,২৪৭ জন পুলিসকর্মী মোতায়েন করা হবে। হুগলি জেলা পুলিসের এক কর্তার দাবি, এই জেলায় গ্রামীণের এলাকা অনেকটা বড়। হুগলির তিনটি কেন্দ্রের বেশিরভাগ এলাকাই গ্রামীণ। সেই নিরিখেই হয়তো বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও রাজ্যের শাসকদলের এক দাপুটে নেতা বলেন, মনে রাখতে হবে, লোকসভা হিসেবে বাহিনী বরাদ্দ হয়নি। সেই হিসেবে হাওড়ার দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র হুগলির ভাগে পড়ে। প্রসঙ্গত, হাওড়া গ্রামীণ এলাকার জন্য ১১০ কোম্পানি ও কমিশনারেটের জন্য ৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ করা হয়েছে।