শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গানগর বাজারে সব্জি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাপসবাবু, জয়বাবু ও রমেনবাবু। তাঁরা ছিলেন দুর্গানগর এলাকার বাসিন্দা। ছোট পণ্যবাহী গাড়ির চালক নারায়ণবাবুর বাড়ি গাইঘাটা থানা এলাকায়। তাঁরা রোজ ভোরে আমডাঙার গাদামারা পাইকারি হাটে এবং আশাপশের বিভিন্ন বাজারে সবজি কিনতে যেতেন। অন্যদিনের মতো শনিবার ভোরেও তাঁরা ছোট ওই পণ্যবাহী গাড়িতে চেপে গাদামারায় যাচ্ছিলেন। চালক সহ চারজন ওই গাড়ির কেবিনে বসেছিলেন। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার সময় আদহাটা এলাকায় তাঁদের গাড়িটির সঙ্গে নদীয়ার দিক থেকে আসা সিমেন্ট বোঝাই একটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ছোট গাড়িটি ঘটনাস্থলেই দুমড়ে মুচড়ে যায়। বিকট আওয়াজ আর যাত্রীদের আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে সেখানে যান। দ্রুত পৌঁছে যায় আমডাঙা থানার পুলিসও। তাঁরা সবাই মিলে আহতদের উদ্ধার করে আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষার পর চিকিৎসক চারজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। নারায়ণবাবুর বন্ধু সুশান্ত বিশ্বাস এদিন দুর্গানগর থেকে আমডাঙায় আসেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি কীভাবে ঘটল বুঝতে পারছি না। এঁরা সবাই সব্জি কিনতে এসেছিলেন। শুনেছি, লরি ও ছোট গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সকলে মারা গিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, আমডাঙায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের যেসব অংশে সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়েছে সেখানে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বিভিন্ন পণ্যবাহী লরি যাতায়াত করে। জাতীয় সড়কের বিভিন্ন বাঁকে সবকিছু ভালোভাবে দেখা যায় না। এমনকী রাস্তার ধার বরাবর সার্ভিস রোডও তৈরি করা হয়নি। ওইসব জায়গায় চালকদের সতর্ক করার জন্য সতর্কতা বোর্ড বসানো হয়নি। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা সরব হয়েছেন।