নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
দু’ হাজার বর্গফুটের দু’টি পুকুরে (মোট ৪০০০) মুক্তো চাষ করা হয়েছে। মূলত এখানে যে প্রকারের মুক্তোর চাষ করা হয়েছে, তাকে ডিজাইন মুক্তো বলা হয়। অর্থাৎ, অস্ত্রোপচার করে ঝিনুকের ভিতরে ডিজাইন ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তার উপর প্রলেপ পড়তে পড়তে সেটি দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। এই মুক্তো তৈরি হতে দেড় বছর সময় লাগে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঝিনুকগুলি পুকুরের জলের মধ্যে রাখা হয়েছিল। এতদিনে সেগুলি পরিণত হয়েছে। মার্চের মধ্যেই এগুলি জল থেকে তোলা হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতেকলমে এই কাজ শিখিয়েছেন সঞ্জীব মণ্ডল এবং তন্ময় মণ্ডল। সঞ্জীববাবু বলেন, নেটের ব্যাগ তৈরি করে তার মধ্যে দু’টি করে ঝিনুক রাখা হয়। তার আগে অবশ্য কী কী ডিজাইনের মুক্তো প্রয়োজন, তা অস্ত্রোপচার করে ঝিনুকের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দড়ি দিয়ে সেই ব্যাগ জলের আড়াই ফুট নীচে ঝুলিয়ে রাখা হয়। মাছের খাবারই দেওয়া হয় তাদের। এরপর এই দেড় বছর ধরে ঝিনুকের ভিতরে যে আস্তরণ পড়ে, তা ওই ডিজাইনের আকার নেয়। এই মুক্তো থেকে মূলত লকেট তৈরি হয়। জানা গিয়েছে, এই মুক্তো ভারত এবং বাংলাদেশে বেশি তৈরি হয়।
দেড় বছরের সময় এখন শেষের মুখে। কিন্তু যেভাবে বিভিন্ন জেলা এবং ভিন রাজ্য থেকে এই মুক্তোর অর্ডার এসেছে, তাতে চিন্তায় পড়েছেন গোষ্ঠীর সদস্যারা। কারণ, এখানে সাড়ে চার হাজারের মতো মুক্তো চাষ করা হয়েছে। অথচ চাহিদা ১০ হাজারের মতো। সেক্ষেত্রে বাকিটা কীভাবে পূরণ করা যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। সঞ্জীববাবুর কথায়, পাঞ্জব, মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্য আমাদের এই মুক্তো চাইছে। সবাইকে দেওয়া সম্ভব হবে কি না, জানি না। তবে ভবিষ্যতে অন্যান্য ব্লকেও যাতে এই চাষ করা যায়, তার জন্য সব রকম সাহায্য তাঁরা করবেন বলে জানিয়েছেন সঞ্জীববাবু।