বিএনএ, বারাকপুর: চাকদহ গৌরপাড়া তপোবনে সন্তু ঘোষ নামে যুবক খুনের ঘটনায় শনিবার রাতেই ভরত বিশ্বাস নামে এক তাঁর বন্ধুকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। ভরত পুলিসের কাছে ওই যুবককে খুনের কথা স্বীকার করেছে। পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, এখনও খুনের কারণ স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে কল্যাণী আদালতে তোলা হলে সাতদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। অন্যদিকে, মৃত সন্তু ঘোষের বাড়িতে রবিবার বিজেপির রাজ্য যুবমোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকার আসেন। পরিবারের পাশে থাকার তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি নিরপেক্ষ পুলিসি তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। বিজেপির তরফে এদিন প্রতিবাদ মিছিলও বের করা হয়। পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্তুর বাড়িতে বাবা, মা ছাড়াও দুই দিদি রয়েছে। দিদিদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাবা সাধু ঘোষ মিষ্টির দোকানের কর্মী। সন্তু বড়বাজারে একটি সোনার দোকানের কর্মী। তাঁর জামাইবাবু সুশান্ত কর্মকার সাত বছর আগে তাঁকে এই কাজের ব্যবস্থা করে দেন। তিনি এই কাজ করে কিস্তিতে একটি বাইকও কিনেছিলেন। সাধারণত সকাল আটটা নাগাদ তিনি কাজে বেরিয়ে যেতেন। আর রাত বারোটা নাগাদ কাজ থেকে তিনি ফিরতেন। শুক্রবার রাত ৯ টা নাগাদ তিনি বাড়ি ফেরেন। তার আগে বাইক করে তিনজন এসে বাড়িতে তাঁর খোঁজ করে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তখনও তিনি বাড়ি আসেননি। পরে, বাড়ি ফিরলে তাঁর মোবাইলে ফোন আসে। ফোন পেয়ে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরই এলাকার লোকজন গুলির শব্দ শুনতে পান।
ছুটে গিয়ে দেখেন, পাড়ার পাশে একটি চাষজমি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ছুটে আসছেন সন্তু। কিছুটা আসার পর ঢালাই রাস্তার উপর তিনি লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।এই ঘটনার জেরে শনিবার সকালে চাকদহ, শিমুরালি স্টেশনে রেল অবরোধ হয়। জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে চাকদহ থানা ঘেরাও করা হয়।