বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
কী ঘটেছিল? অমল চক্রবর্তীর অভিযোগ, গত ১৫ দিন ধরেই উল্টোডাঙা মেন রোডের উপরে একটি শৌচাগার তৈরি হচ্ছিল। ওয়ার্ক অর্ডার জারি করে প্রায় ন’লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই কাজ হচ্ছিল। কিন্তু এদিন আচমকাই মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের লোকজন এসে ওয়ার্ক অর্ডার দেখতে চান। এরপরই রীতিমতো হুমকি দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন তাঁরা। বলেন, এখানে কোনও শৌচাগার হবে না। অমলবাবুর অভিযোগ, মন্ত্রী এই ধরনের পরিষেবামূলক কাজ আগেও বন্ধ করে দিয়েছেন। এভাবে এলাকার উন্নয়ন কীভাবে মন্ত্রী বন্ধ করতে পারেন, জানি না। অন্যায় হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার বরো থেকে ওয়ার্ক অর্ডার নিয়েই কাজ হচ্ছিল। তাহলে বন্ধ করলেন কোন সাহসে?
আবার পাল্টা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের দাবি, শৌচাগারটি কোল ইন্ডিয়ার জমিতে হচ্ছিল। কোল ইন্ডিয়ার কর্তারা আমার কাছে অভিযোগ করেন। যে কেউ সরকারি জমি দখল করে যা খুশি তৈরি করবে আমার এলাকায়, তা আমি বরদাস্ত করব না। সরকারি জমি এভাবে দখল করা যায় না। বরো থেকে অন্যায়ভাবে ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু হয়েছে। যে কারণেই আমি ওই কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি। কলকাতা পুরসভার বস্তি বিভাগ সূত্রে খবর, কাউন্সিলাররা যখন তাঁদের এলাকায় শৌচাগার তৈরির জন্য আবেদন করেন এবং জমি চিহ্নিত করে দেন, তখন সেগুলির কাগজপত্র খতিয়ে দেখেই তবে অনুমোদন দেওয়া হয়। বস্তি বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য স্বপন সমাদ্দার বলেন, অত্যন্ত অনৈতিক কাজ হয়েছে শৌচাগার তৈরি বন্ধ করে দেওয়া। জমি এবং কাজগপত্র দেখেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও এটা কীভাবে বন্ধ হতে পারে! এভাবে এই কাজ বন্ধ হলে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারি। সূত্রের খবর, এদিন কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পর অমলবাবু খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করে অভিযোগ জানান। মেয়রও বিষয়টি ভালো চোখে নেননি বলে কাউন্সিলার দাবি করেছেন। এদিকে, কলকাতা পুরসভার ৩ নম্বর বরোর মধ্যেই ১৪ নম্বর ওয়ার্ডটি পড়ে। সংশ্লিষ্ট বরোর চেয়ারম্যান অনিন্দ্য রাউতের কথায়, এই ধরনের কাজের ওয়ার্ক অর্ডার বরো থেকে ইস্যু হয় না। পুরসভার সদর দপ্তরের বস্তি বিভাগ থেকে হয়।