বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
লাইসেন্স বিভাগের আধিকারিকদের কথায়, শহরে প্রায় চার লক্ষ ব্যবসায়ী রয়েছেন। ফায়ার লাইসেন্স এবং ট্রেড লাইসেন্স—এই দু’য়ের চক্করে পড়ে অনেকেই পিছিয়ে যাচ্ছেন। ফলে পুরসভাকে রাজস্ব খোয়াতে হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই এই খাতে আয় ক্রমশ কমছে। যার জেরে লাইসেন্স বিভাগের অর্থ আদায় নিয়ে পুর কমিশনারও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু লাইসেন্স বাবদ পুর কোষাগারে অর্থ আসার ক্ষেত্রে অন্যতম অন্তরায় যে ফায়ার লাইসেন্স, তা পরবর্তীকালে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে বোঝাতে সক্ষম হন বিভাগীয় কর্তা-আধিকারিকরা। মেয়রও তৎক্ষণাৎ স্থির করেন, এই পদ্ধতিতে বদলাতে হবে। তাতেই এদিন সিলমোহর পড়ল। মেয়র জানিয়েছেন, মেয়র পরিষদের বৈঠকেই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। লাইসেন্স বিভাগের এক কর্তার কথায়, এর ফলে ব্যবসায়ীদেরও সুবিধা হবে। যে কোনও ব্যবসায় ট্রেড লাইসেন্স অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দমকল দপ্তর ফায়ার লাইসেন্স নিয়ে টালবাহানা করায় পুরসভার আয় কমে যাচ্ছে। এটা কোনওভাবে চলতে দেওয়া যায় না। তাই আগের সিদ্ধান্ত বদল করা প্রয়োজন ছিল।
স্টিফেন কোর্টের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর তৎকালীন প্রশাসনের তৈরি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ট্রেড লাইসেন্স বা সার্টিফিকেট অব এনলিস্টমেন্ট পেতে গেলে ফায়ার লাইসেন্স নিতেই হবে। তবে পুর প্রশাসনের একাংশের কথায়, ব্যবসায়ীরা ফায়ার লাইসেন্স না নিয়ে ট্রেড লাইসেন্স পেয়ে গেলে পরবর্তীকালে অগ্নিকাণ্ডের মতো কোনও অপ্রীতিকর ঘটনায় কে দায়ী থাকবে, তা নিয়েই চলবে দড়ি টানাটানি। ফায়ার লাইসেন্স নেওয়ার পর ট্রেড লাইসেন্স নিতে হলে ব্যবসায়ীদের একটা গণ্ডির মধ্যে আটকে রাখা যেত। এবার তা বন্ধ হয়ে গেল।