বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
উল্লেখ্য, সোমবার বিলকান্দা শিল্প তালুকের একটি চেয়ার তৈরির কারখানায় আচমকায় আগুন লেগে যায়। সেই সময় কারখানার ভিতরেই ছিলেন ওই পাঁচজন কর্মী। দমকলের ২৫টি ইঞ্জিন টানা আগুন নেভানোর কাজ করে। মঙ্গলবার ভোরে আগুন নেভানো সম্ভব হয়। তারপর থেকেই উদ্ধাযকার্য চলছে।
বুধবার সকালে উদ্ধাকার্য অভিযান শুরু হওয়ার আগেই নিখোঁজ পরিবারের সদস্যরা হাজির হয়েছিলেন পোড়া কারখানার সামনে। পুলিস দিয়ে কারখানা চত্বর ঘিরে রাখা হয়। প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকার্য চালানো হলেও তিনদিন পরেও পাঁচজনের মধ্যে একজনেরও হদিশ না মেলায় নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। প্রশাসন কোনও কিছু চাপা দিতে চাইছে কি না এই সন্দেহেই পরিবারের সদস্যরা পুলিস-প্রশাসনের নজর এড়িয়ে আচমকা ভিতরে ঢুকে পড়েন। তাঁরা পোড়া ছাইয়ের মধ্যে হাতড়ে বেড়ান। যদিও কোনও চিহ্ন অথবা কোনও নথি খুঁজে পাওয়া যায়। তবে, পুলিসের নজরে আসার পরই তাঁদের বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যার পরেও তাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন। কোনও খবর পাওয়া গেল কি না উদভ্রান্তের মতো তাঁরা তা বার বার জানার চেষ্টা করছেন।
এদিন কারখানার গেটের বাইরে নিখোঁজ কর্মী সঞ্জীব পড়িয়ার বাবা নিমাই পড়িয়া বলেন, তিনদিন পরেও ছেলের কোনও খোঁজ পাচ্ছি না। এই কারখানাগুলির পরিকাঠামোর দিকে যদি প্রশাসন আগে নজর দিত তাহলে হয়ত এইদিনটা দেখতে হত না। অন্যদিকে, বারাকপুরের মহকুমা শাসক আবুল কালাম আজাদ ইসলাম বলেন, প্রশাসনের তরফে ওই কারখানার ভিতরে উদ্ধারকার্য চলছে। তবে, এখনও পর্যন্ত আমরা নিখোঁজ পাঁচজনের খোঁজ পায়নি। পুরো বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।