বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রের খবর, এখানকার পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিকু), ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)-এর মতো গুরুতর অসুস্থ শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জীবন বাঁচানোর জায়গায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন পাইপলাইনে রাতে অক্সিজেনের প্রেসার কমে যাচ্ছে। কিন্তু, চটজলদি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এমনই অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে হাসপাতালের সুপার ডাঃ সৌরভ চট্টোপাধ্যায়কে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও কড়া নজরদারি বলবৎ হয়নি। এমনও অভিযোগ উঠেছে, রাতে ডিউটিরতদের একাংশ নাকি নিশ্চিন্ত ঘুমের জন্য আশঙ্কাজনক ইউনিটের সেন্ট্রাল অক্সিজেন পাইপলাইনের প্রেসারের অ্যালার্ম বন্ধ করে দিচ্ছেন! আবার এমনও অভিযোগ, অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থার কর্মীদের নজরদারির অভাবের জন্যই নাকি রোগীদের জীবন নিয়ে টানাটানি হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, ভেন্টিলেটর ও তার বিভিন্ন মোড, অক্সিজেন মাস্ক, হাই মাস্ক, ন্যাসাল ক্যানুলা, পেন মাস্ক প্রভৃতির মাধ্যমে বহু শিশু এবং রোগী বিভিন্ন আশঙ্কাজনক ইউনিটে সেন্ট্রাল অক্সিজেন পাইপলাইনের অক্সিজেন পায়। কোনও কারণে সেখানকার অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে লাল আলো জ্বলতে শুরু করে। পাশাপাশি ডিউটিরতদের সতর্ক করতে জোরে জোরে অ্যালার্ম বাজে। সেন্ট্রাল পাইপলাইনে অক্সিজেনের উৎস যেখানে, সেখানে অক্সিজেন কমে গেলে এমনটা হতেই পারে। কিন্তু, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। সাধারণত, আশঙ্কাজনক ইউনিটে কর্মরতরা এইসময় চটজলদি সেন্ট্রাল অক্সিজেন স্টোরে ফোন করে সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে অনুরোধ করেন। অনেক সময় জাম্বো অক্সিজেন সিলিন্ডার বদলে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা হয়।
এ প্রক্রিয়ায় কোনও কারণে দেরি হলে? শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অক্সিজেন সিলিন্ডারের প্রেসার ৪৫-৬০ পিএসআই-এর মধ্যে থাকা উচিত। যদি প্রেসার কমতে শুরু করে এবং চটজলদি অক্সিজেনের প্রেসার স্বাভাবিক জায়গায় না আনা যায়, তাহলে রোগী ছটফট করতে শুরু করবেন, পিএওটু, এসপিওটু’র মাত্রা (রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা) কম হওয়ায় জোরে জোরে শ্বাস নেবেন ও শেষে হাইপক্সিয়া (অক্সিজেনের অভাব) হয়ে মারা যেতে পারেন।
এখন প্রশ্ন, নজরদারির কাজ কাদের? হাসপাতাল সূত্রের খবর, এক, প্রেসার কমার জন্য লাল আলো দেখে ও অ্যালার্ম শুনে সেন্ট্রাল অক্সিজেন স্টোরে জানানোর কথা কর্তব্যরত নার্স এবং চিকিৎসকদের। দুই, হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থার প্রতিনিধিদেরও ২৪ ঘণ্টা-সাতদিন এ বিষয়ে নজরদারি থাকা দরকার। রাতে আরও বেশি। এ বিষয়ে কোনও ফোন এলে গুরুত্ব দিয়ে দেখে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থার নেওয়ার কথা। তার উপর নির্ভর করে জীবনমৃত্যু।
কিছুদিন আগে এনআরএস সিসিইউ-এর এক কর্মী বিষয়টি সুপারকে জানান। একই কথা জানান হাসপাতালের পিকু’র ইনচার্জ ডাঃ অসীম মল্লিকও। বুধবার অসীমবাবু ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, আরও তৎপরতা দরকার। না হলে রাতে ছোট ছোট বাচ্চাদের বড় বিপদ হতে পারে। সুপারকে অবহিত করেছি। দোষ ঠিক কাদের, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখুক। মাসে একবার অন্তত অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসলে ভালো। এনআরএস-এর সুপার সৌরভবাবু ফোন ধরেননি। অধ্যক্ষ ডাঃ শৈবাল মুখোপাধ্যায় বলেন, বলেন কী! বিষয়টি নিশ্চয়ই গুরুত্ব দিয়ে দেখব।