বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠনপাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
প্রাক্তন ওই কাউন্সিলার সন্ময়বাবু তাঁর অভিযোগপত্রে লিখেছেন, গত বছর ২০ অক্টোবর নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন ঘোষ নিয়মিত পুরসভায় আসছেন। নীচের তলায় তাঁর চেয়ারম্যানের অফিস ছিল। দায়িত্বে থাকার সময় তিনি সেখানেই নিয়মিত বসতেন। বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তিনি বেলা ৩ টে নাগাদ অফিসে এসে আগের মতো চেয়ারম্যানের মতো দায়িত্বভার পালন করছেন। শুধু চেয়ারম্যানই নন, সোমনাথ দে নামে একজন প্রাক্তন সিআইসি নিয়মিত পুরসভার অফিসে গিয়ে আগের মতো নিজের চেম্বারে বসেন। পুরসভার একটি গাড়িও ব্যবহার করেন। অবিলম্বে এই অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশাসকের কাছে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। আর চেয়ারম্যান ও সিআইসি-র দুটি ঘরে তালা দিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
সন্ময়বাবু ফোনে বলেন, প্রশাসকের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত যাব। বেআইনি এই কাজ আমি মেনে নেব না। অন্যদিকে, প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপনবাবু বলেন, আমি সাধারণ নাগরিক হিসাবে পুরসভায় যাই। চেয়ারম্যানের কোনও কাজ করি না। তিনি না জেনে নির্বোধের মতো এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করছেন। প্রাক্তন সিআইসি সোমনাথবাবু বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসাবে নয়, আমি পানিহাটির নাগরিক হিসাবে পুরসভায় যাই। এতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। অভিযোগকারী নিজেও আসতে পারেন। তবে, নিজের চেম্বারে আমি বসি না। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে বোর্ডে থাকার সময় বেশ কিছু কাজের অনুমোদন হয়েছিল। প্রয়োজনে ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কাজ নিয়ে আলোচনা করা হয়। কিন্তু, কোনও কাগজে সই, কোনও সিদ্ধান্ত তো আমরা নিই না। আর তিনি যে গাড়ির নম্বর দিয়ে আমি চড়ে বেরাই বলে অভিযোগ করেছেন তা ঠিক নয়। আসলে ওই গাড়িটি এগজিকিউটিভ অফিসার, ফিনান্স অফিসার চড়েন। আমি অন্য একটি নম্বরের টাটা সুমো চড়ি। সেটি চেয়ারম্যানের নিজের গাড়ি। আসলে প্রচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় এসব অভিযোগ করে বেরাচ্ছেন।