বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠনপাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর আমতলা চৌরাস্তা থেকে কিছুটা দক্ষিণ দিকে এগলেই বা দিকে ওই গ্রামীণ হাসপাতাল। বিশাল এলাকা নিয়ে হাসপাতালের চৌহদ্দি। এর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল, রোগীদের চাহিদা অনুসারে এখনও অনেক কিছুই নেই। আপাতত জলাতঙ্কের প্রতিষেধক নিয়ে এলাকার মানুষ উদ্বেগে রয়েছে। এদিন কন্যানগর থেকে আগত এক রোগীর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। কুকুরে কামড়ের চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। বললেন, কোনও ওষুধ নেই বলছে। কবে পাওয়া যাবে তাও জানাতে পারলেন না কেউ। হাসপাতালের এক কর্মী জানালেন, বহুদিন ধরে এই প্রতিষেধক পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য প্রতিদিন দশ থেকে এগারো জন রোগী ফিরে যাচ্ছেন।
ওই কর্মী জানালেন, এই তল্লাটে অনেক গরিব মানুষের বাস। আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে তাদের একটা বড় অংশ চিকিৎসার জন্য আসেন। স্বাভাবিকভাবে তাঁদের পক্ষে বাইরের দোকান থেকে মোটা টাকা দিয়ে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক কেনার ক্ষমতা নেই। এ নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককের কাছে এই প্রতিষেধক চেয়ে লিখিত চিঠি দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এটা আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালের একার সমস্যা নয়। ডায়মন্ডহারবার, কাকদ্বীপ, সাগর, নামখানা, ক্যানিং, বারুইপুর, সোনারপুর, বজবজ থেকে শুরু করে সমস্ত ব্লক, মহকুমা, গ্রামীণ ও জেলা হাসপাতালে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক নেই। অনেকদিন ধরে এই সমস্যা চলছে। একই অবস্থা অন্য জেলাগুলিতেও। এক্ষেত্রে সরকারের কোনও ত্রুটি নেই। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সরকারি নথিভুক্ত ভেন্ডারের কাছে এআরভি চেয়ে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে বসে রয়েছে। কিন্তু, ভেন্ডার সাপ্লাই দিতে পারছে না। কারণ, পুণাতে এই প্রতিষেধক যেখানে তৈরি হয়, চাহিদা অনুসারে উৎপাদন হচ্ছে না। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সোমনাথ মুখোপাধ্যায় একই কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এ নিয়ে প্রতিদিনই চিঠি আসছে। কিন্তু আমাদের হাত-পা বাঁধা।