বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোনা কিনে যাঁরা বিনিয়োগে আগ্রহী, তাঁদের জন্য ওই বন্ড কেনা ভালো। কারণ এতে সোনা জমিয়ে রাখার খরচ ও তার সুরক্ষার চিন্তা করতে হয় না ক্রেতাকে। চলতি আর্থিক বছরে এটি গোল্ড বন্ডের দশম ইস্যু হিসেবে বাজারে ছাড়া হচ্ছে। আজ থেকে আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত ওই বন্ড কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ বা কোনও সংস্থা।
বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে বন্ডগুলি কেনা যাবে বলে জানিয়েছে আরবিআই। নির্দিষ্ট কিছু পোস্ট অফিস থেকেও কেনা যাবে ওই বন্ড। শেয়ার বাজারগুলিও বন্ড বিক্রি করবে এজেন্টের মাধ্যমে। যে বাৎসরিক ২.৫ শতাংশ হারে সুদ মিলবে, তা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে ছ’মাস অন্তর। শেষ বারের সুদ মিশিয়ে দেওয়া হবে সোনার দামের সঙ্গে। আট বছর পর যখন বন্ডের মেয়াদ শেষ হবে, তখন ‘৯৯৯’ বিশুদ্ধতার সোনার যে দর যাবে, সেই দরেই গ্রাহক বন্ডের টাকা ফেরত পাবেন।
ইন্ডিয়ান বুলিয়ান অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন দৈনিক যে সোনার দাম প্রকাশ করে, মেয়াদ শেষে সেই অনুযায়ী তিনটি কাজের দিনে সোনার যে দর প্রকাশিত হবে, তার গড় করে গ্রাহককে দেওয়া হবে মেয়াদি টাকা। আট বছর আগেই যাঁরা বন্ড ভাঙাবেন, তাঁদেরও অন্তত পাঁচ বছর বন্ডটি রাখতেই হবে। আরবিআই গ্রাম প্রতি যে ৪ হাজার ২৬০ টাকা দর ঘোষণা করেছে, তা ঠিক হয়েছে গত তিনটি কাজের দিনের সোনার দামের গড় করেই। সাধারণ গ্রাহক যদি ওই বন্ড কিনতে চান, তাহলে তাঁকে অন্তত এক গ্রাম সোনার বন্ড কিনতেই হবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমারেখা চার কেজি সোনা। কোনও ট্রাস্ট বা সমগোত্রীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমারেখা ২০ কেজি সোনার বন্ড।
এই বন্ড কেনা কেন ভালো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করের দিক থেকে এটি সুবিধাযুক্ত। সে সুদ এখান থেকে গ্রাহক পাবেন, তা তাঁর আয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে এবং আয়কর হবে তার উপর নির্ভর করেই। তবে ওই সুদের কোনও উৎস্যমূলে কর বা টিডিএস কাটা হবে না। অন্যদিকে মেয়াদ শেষে যখন গ্রাহক টাকা পাবেন, তখন তা ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্সের আওতায় পড়বে না। এক্ষেত্রে বড় কর রেহাই গ্রাহকের। গোল্ড ইটিএফ, গোল্ড ফান্ড বা বাস্তবে সোনা কেনায় নানা করের ঝামেলা আছে, যা এখানে নেই। যাঁরা সোনা কেনেন, তাঁদের তিন শতাংশ জিএসটি দিতে হয়। এক্ষেত্রে জিএসটি দিতে হবে না।