উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
অন্যদিকে, হাওড়া শহরের আদ্যিকালের নিকাশি ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা হবে। নির্বাচন মিটলেই এই নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার সালকিয়ার জটাধারী পার্কে নির্বাচনী জনসভা থেকে এই আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে এটা কিছু করা যাবে না। এর জন্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হবে। মঞ্চে উপস্থিত রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে বলেন, ববি এটা দায়িত্ব নিয়ে করবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হাওড়া শহরের নিকাশি ব্যবস্থা সত্যিই খুব খারাপ অবস্থায় আছে। আমরা যতটুকু পেরেছি করেছি। কিন্তু, দীর্ঘদিন হাওড়া শহরের উন্নয়ন নিয়ে কোনও কাজ হয়নি। আমরা পুরসভায় আসার পর কাজ হয়েছে। তবে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি করা হবে।
এদিনর সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভদ্রেশ্বরের সঙ্গে আমার যোগাযোগ দীর্ঘ দিনের। ভিখারি পাসোয়ানকে নিয়ে আন্দোলনের সময় আমি ৭২ ঘণ্টা তেলেনিপাড়ার রাস্তায় কাটিয়েছি। মঞ্চে থাকা ভিখারি পাসোয়ানের মা লালতিদেবী দেখিয়ে বলেন, এখনও আমি নিয়মিত ওনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। আর একজন মনোজ উপাধ্যায় যাকে উন্নয়নের কাজ করতে গিয়ে জীবন দিতে হয়েছে। মনোজের খুনিরা জেলে রয়েছে। ওরা আইনমাফিক শাস্তি পাবে। আমি এই মঞ্চ থেকে মনোজের আত্মার শান্তি কামনা করি। পাশাপাশি মঞ্চে থাকা তাঁর দাদা ও পরিবারের সদস্যদেরও আমি সমবেদনা জানাই। আমি এই দুই পরিবারের পাশে ছিলাম আগামী দিনেও থাকব। এরপরেই হুগলি কেন্দ্রের প্রার্থী রত্না দেনাগের হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইনি সংসদে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একজন নেত্রী। তাই আমার হাত শক্ত করতে ৬ মে ৪ নম্বর বোতাম টিপে রত্নাদিকে আপনারা ভোট দিন।
এদিন দুপুর ১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী ভদ্রেশ্বরের জনসভায় হাজির হন। তার আগেই মাঠ ও সংলগ্ন এলাকায় মানুষের জনস্রোত উপচে পড়ে। গরম থেকে বাঁচতে কেউ টুপি পরে, কেউ ছাতা মাথায় দিয়ে হাজির হন। হাজির হন হুগলির পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস, জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত, দুই মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ও অসীমা পাত্র, বিধায়ক বেচারাম মান্না, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহবুব রহমান, যুব সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সহ জেলা নেতারা। কপ্টার আকাশে চক্কর কাটতে শুরু করার পরেই সভায় থিকথিক করা মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিন হাওড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও রাজ্যের তিন মন্ত্রী অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও লক্ষ্মীরতন শুক্লা উপস্থিত ছিলেন। এখানেও ব্যাপক ভিড় হয়েছিল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হাওড়া শহরের জন্য আমরা প্রচুর উন্নয়ন করেছি। ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরি হচ্ছে। ওখানে স্পোর্টস কমপ্লেকস হবে। এছাড়াও দু’হাজার কোটি টাকা দিয়ে টেক্সটাইল হাব হচ্ছে। শহরে পানীয় জলের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি হাব হয়েছে। এখন কিছু লোক এসে বড় বড় কথা বলছে। সারা বছর কোথায় থাকে? এদিনের সভা থেকে হাওড়ার বিজেপি প্রার্থীকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, এখানকার বিজেপি প্রার্থীর নাম আমি বলতে চাই না। তবে তিনি হাফপ্যান্ট পরে আরএসএস করতেন। তাঁর ব্যাপারে আমি আর কিছু বলতে চাই না।