আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
ইউরো কাপের ‘বড় ম্যাচ’। কিন্তু খেলা হল একেবারে একপেশে। স্কোরলাইন দেখে এই ম্যাচের নির্যাস বোঝা যাবে না। শুরু থেকে শেষপর্যন্ত স্পেন দাঁড়াতে দিল না ইতালিকে। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের রীতিমতো ল্যাজেগোবরে করে ছাড়ল তারা! বল নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে শট, সবেতেই প্রতিপক্ষের থেকে অনেক যোজন এগিয়ে ছিল স্প্যানিশরা। তাদের ৫৮ শতাংশ বল পজেশনের বিপরীতে আজ্জুরিরা ৪২। পুরো ম্যাচে উইলিয়ামস, রুইজরা যেখানে ৯টি গোলমুখী শট নিয়েছেন, সেখানে ইতালিয়ানরা পরীক্ষায় ফেলেছেন মাত্র একবার। শুধু ফুটবলাররাই নয়, হাই-ভোল্টেজ লড়াইয়ে খেই হারিয়েছেন আজ্জুরি কোচ স্পালেত্তিও। লা রোহা ব্রিগেডের সৃজনশীল ফুটবলের মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত কোনও ব্লু-প্রিন্টই তৈরি করতে পারেননি তিনি। না হলে ডি লরেঞ্জো, পেলেগ্রিনির মতো আন্ডার পারফর্মারকে এতক্ষণ মাঠে রাখতেন না। কার্যত উদ্দেশ্যহীন ফুটবল খেলল তাঁর দল। তাছাড়া মিডফিল্ডে যোগ্য নেতার অভাবও ডুবিয়েছে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। প্রতিপদে প্রকট হয়েছে অভিজ্ঞতার অভাব। ভাগ্যিস, তিনকাঠির নীচে ডোনারুমার মতো একজন তুখোড় গোলরক্ষক ছিলেন! তা নাহলে স্পেনের কাছে গোলের মালা পরে মাঠ ছাড়তে হতো আজ্জুরিদের। এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের পরেও গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে হারাতে পারলে শেষ ষোলোয় পৌঁছবে ইতালি। কিন্তু গড়পড়তা ফুটবলারদের নিয়ে খেতাবরক্ষা যে সহজ হবে না, তা বিলক্ষণ বুঝেছেন কোচ স্পালেত্তি।
টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে জিতে রাউন্ড অব সিক্সটিনের টিকিট পাকা করে ফেলেছে স্পেন। এখন ফুয়েন্তের উচিত আলবেনিয়ার বিরুদ্ধে লিগের শেষ ম্যাচে মোরাতার বিকল্প খুঁজে নেওয়া। তা নাহলে পেড্রি, রড্রি, উইলিয়ামসরা ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে যতই মন জিতুক না কেন, নক-আউট পর্বে স্কোরারের অভাবে বিপদে পড়বে স্পেন।