উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
মঙ্গলবার ঘরের মাঠ এস্তাদিও আলফ্রেডো ডি স্তেফানোয় আয়োজিত খেলার ৩৩ মিনিটের মধ্যে দু’গোলে লিড নেয় রিয়াল। তবে এরপর দুরন্ত কামব্যাক আন্তোনিও কন্তে-ব্রিগেডের। অনেকেরই মনে হয়েছিল, এই ম্যাচেও জয় অধরা থাকবে বেনজেমাদের কাছে। তবে ৮০ মিনিটে সুপার সাব রডরিগোর গোলে জয় ছিনিয়ে নেয় ‘লস ব্ল্যাঙ্কোস’। ম্যাচে রিয়ালের অপর দুই গোলদাতা যথাক্রমে করিম বেনজেমা ও সের্গিও র্যামোস। ইন্তারের হয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেন লাওতারো মার্তিনেজ ও ইভান পেরিসিচ। এই জয়ের পরেও তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘বি’-তে তিন নম্বরেই রইল রিয়াল। আর হেরে সবার শেষে ইন্তার।
ম্যাচের শুরুটা অবশ্য হয়েছিল সমানে সমানেই। আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণে ভর করে প্রথম ১৫ মিনিটেই বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করে রিয়াল ও ইন্তার। তবে ২৫ মিনিটে প্রতিপক্ষ ফুটবলারের ভুলের সুযোগ সদ্ব্যবহার করেন বেনজেমা। সেন্টার সার্কেলের কাছ থেকে হাকিমির অযৌক্তিক ব্যাক পাস ধরে লক্ষ্যভেদ ফরাসি স্ট্রাইকারটির (১-০)। এরপর ৩৩ মিনিটে রিয়ালে হয়ে ব্যবধান বাড়ান সের্গিও র্যামোস। কর্নার থেকে টনি ক্রুজের ভাসানো বলে মাথা ছুঁইয়ে জাল কাঁপান তিনি (২-০)। সেইসঙ্গে রিয়ালের জার্সিতে গোলের সেঞ্চুরিও সেরে ফেললেন এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডারটি।
দু’গোলে পিছিয়ে পড়েও দমে যায়নি ইন্তার। মিনিট দু’য়েকের মধ্যেই ব্যবধান কমান লাওতারো মার্তিনেজ। রিয়াল বক্সের ঠিক বাইরে নিকোলো বারেল্লার ব্যাক হিল থেকে লক্ষ্যভেদ করতে ভুল হয়নি আর্জেন্তাইন স্ট্রাইকারটির (২-১)। নিজে স্কোরশিটে নাম তোলার পাশাপাশি ম্যাচের ৬৮ মিনিটে সতীর্থকে দিয়ে গোল করান লাওতারো। তাঁর পাস থেকে রিয়াল জাল কাঁপান ইভান পেরিসিচ (২-২)। দু’গোলের লিড হাতছাড়া হওয়ার পর বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন জিদান। দুই তরুণ ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও রডরিগোকে মাঠে নামান তিনি। এই জোড়া পরিবর্তন ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। ৮০ মিনিটে ভিনিসিয়াসের থ্রু পাস থেকে ইন্তার জালে বল জড়ানরডরিগো (৩-২)। ম্যাচে তৃতীয়বারের জন্য পিছিয়ে পড়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি কন্তে-ব্রিগেড। শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধান ধরে রেখে পুরো পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।