প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
সোমবার আইওসি’কে কানাডা ওলিম্পিকস ও প্যারালিম্পিকস কমিটি জানিয়ে দিয়েছে, ওলিম্পিকসে অংশ নেওয়ার থেকেও দেশের অ্যাথলিটদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার দিকে নজর দেওয়া তাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক প্যারালিম্পিকস কমিটি আইওসি’র কাছে আবেদন করেছে, টোকিও ওলিম্পিকস এক বছরের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হোক। কানাডা ওলিম্পিকস কমিটি সর্বতোভাবে এই আবেদনকে সমর্থন করে। তাই তারা টোকিও থেকে নাম তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। যদি আইওসি ওলিম্পিকসের পুনরায় ক্রীড়াসূচি তৈরি করে তাহলে তারা সর্বতোভাবে সাহায্য করতে রাজি। তবে সবক্ষেত্রেই অ্যাথলিটদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা অগ্রাধিকার পাবে।
টোকিও ওলিম্পিকস থেকে কানাডা নাম তুলে নেওয়ায় আইওসি’র উপর বিরাট চাপ সৃষ্টি হল। এরপর দেখা যাবে, কানাডার সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করে অনেক দেশ একই পথে হাঁটবে। এটাই এখন প্রধান চিন্তার বিষয় আইওসি’র কাছে। ইতিমধ্যেই অনেক দেশ ও বিভিন্ন ওলিম্পিক কমিটি টোকিও ওলিম্পিকস স্থগিত বা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো আমেরিকার ওলিম্পিক কমিটি ও তাদের ট্র্যাক ও ফিল্ড টিম। রবিবার আইওসি’র শীর্ষকর্তারা আলোচনায় বসেছিলেন। তারা বলেছেন, ওলিম্পিকস বাতিল করা সমস্যার সমাধান নয়। বরং এই ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে। সবটাই নির্ভর করছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কতটা বাড়ে বা কমে তার উপর। কারণ, ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সারা বিশ্বে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
কানাডা ওলিম্পিক কমিটি মনে করছে, টোকিও ওলিম্পিকস নিয়ে আয়োজকরা যত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয় ততই মঙ্গল বিভিন্ন দেশগুলির ক্ষেত্রে। বিশেষ করে ওলিম্পিকসের স্টেকহোল্ডার ও স্পনসররা প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে বসে আছে। ওলিম্পিকস স্থগিতের সিদ্ধান্ত দ্রুত আইওসি ঘোষণা করলে তারা কিছুটা স্বস্তি পায়। না হলে বিরাট আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে স্টেকহোল্ডার ও স্পনসররা। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের ওলিম্পিক সংস্থা তাদের অ্যাথলিটদের প্রস্তুতির জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও আর্থিক বিনিয়োগ করেছে। ওলিম্পিকস আদৌ হবে কি না তা তারা দ্রুত জানতে পারলে পরবর্তী পরিকল্পনা করতে সুবিধা হয়। ফলে ওলিম্পিকসের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত যত ঝুলে থাকবে ততই সমস্যা বাড়বে দেশগুলির। আন্তর্জাতিক ওলিম্পিক সংস্থার প্রধান টমাস বাখ সব পরিস্থিতি বুঝেও আয়োজক জাপান ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে প্রতিনিয়ত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের থেকে প্রতি মুহূর্তে রিপোর্ট নিচ্ছেন। এটা পরিষ্কার, এত বড় আয়োজন পুরোপুরি ভেস্তে যাক তা আন্তর্জাতিক ওলিম্পিক সংস্থা মনেপ্রাণে চাইছে না। তারা আয়োজনের শেষ চেষ্টা করতে চাইছে। বিশ্ব ক্রীড়ামহলের ধারণা, ওলিম্পিক আয়োজন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আইওসি’র থাকলেও এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতামত সবচেয়ে অগ্রাধিকার পাবে।