জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
এদিন কবর থেকে ওই বালকের দেহ তোলার সময় কেতুগ্রাম-১ বিডিও, কান্দরা রামজীবনপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও পুলিস ছিল। মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানান কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ। বিধায়ক বলেন, ওই বালকের পরিবার খুনের সন্দেহ করছে। তাই তার বাবার আবেদনের ভিত্তিতে কবর থেকে মৃতদেহ তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে। কাটোয়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জিসান স্থানীয় স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। বাবা সরিফ শেখ কর্মসূত্রে পুনেতে থাকতেন। বাড়িতে মা রিম্পা বিবি ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। গত ২৫ জুন কেতুগ্রাম থানায় খুনের অভিযোগ জানান সরিফ। অভিযোগে তিনি পুলিসকে জানিয়েছেন, ২২জুন তাঁর মামাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই সবাই ব্যস্ত ছিলেন। বাড়ির পাশে পুকুরের ধারে বছর দশেকের এক বন্ধুর সঙ্গে খেলছিল ছোট্ট জিসান। দুপুরে ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না রিম্পা। বিকেলে প্রতিবেশীরা পুকুরে নেমে জিসানকে উদ্ধার করে। কান্দরা রামজীবনপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্ত না করিয়েই তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরদিন ২৩জুন বাড়ি ফেরেন সরিফ। ছেলের নিথর দেহ দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। কারণ ছেলের নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসছিল। কানের নীচে কালসিটে দাগ ছিল বলে পরিবারের দাবি। যদিও সেদিনই দুপুরের পর দাফনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। মৃতের সঙ্গে খেলতে যাওয়া এলাকারই এক বালক জানায়, দু’জন জিসানকে মারধর করছিল। তারপরই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। এরপরই মৃতের বাবা সরিফ শেখ কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ জানান। তাঁর ছেলেকে মেরে পুকুরে দেহ ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ জানান। কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্ত করে ঘটনার তদন্তের দাবিও তোলেন। পুলিস মামলা রুজু করে আদালতে জানায়। আদালতের নির্দেশেই এদিন কবর থেকে মৃতদেহ তুলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হল। মৃতের বাবা বলেন, আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তদন্ত করে পুলিস দোষীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিক।