জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাংনাপুরের বিবেকানন্দ পল্লিতে প্রাণকৃষ্ণ সরকার নামের এক যুবকের ফটো তোলার স্টুডিও ও সাইবার ক্যাফে রয়েছে। ফটো তোলার পাশাপাশি আধার কার্ড, প্যানকার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করা, রেল ও বিমানের টিকিট কাটারও কাজ করত সে। গত কিছুদিন আগে গোপন সূত্রে গাংনাপুর থানার পুলিস খবর পায় যে, এই ব্যবসার আড়ালে সেখানে ভুয়ো আধার কার্ড বানানোর কাজ চলছে। নদীয়া বাদেও উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদা সহ বিভিন্ন জেলার নকল আধার কার্ড বানানো চলছিল সেখানে। মঙ্গলবার রাতে ওই স্টুডিওতে আচমকা হানা দেন গাংনাপুর থানার আধিকারিকরা। সেখান থেকে প্রচুর নকল আধার কার্ড, দু’টি ল্যাপটপ, প্রিন্টার, বায়োমেট্রিক মেশিন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্টুডিওর মালিক প্রাণকৃষ্ণ সরকারকেও। পুলিস জানিয়েছে, মোটা টাকার বিনিময়ে জাল আধার কার্ড বানিয়ে দিত অভিযুক্ত। এর পেছনে অন্য কোনও চক্র জনিত রয়েছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তকে বুধবার রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। গত কয়েক মাস ধরে অভিযুক্ত যে এই কারবার করছে, তা ঘুণাক্ষরেও জানতেন না পরিবারের সদস্য কিংবা প্রতিবেশীরা। বিবেকানন্দ পল্লির ওই সাইবার ক্যাফের উপরতলাতেই অভিযুক্তের বাড়ি। কবে থেকে সে এই ধরনের বেআইনি কাজ করছে, এই বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি তার পরিবার। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রাণকৃষ্ণ যে এই ধরনের কাজ করতে পারে কোনদিনও ভাবিনি। ও তো স্টুডিওর কাজ করে বলেই জানতাম।