জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, চলতি আর্থিক বছরে আমাদের জেলায় নতুন করে ৯৫০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠনের টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাতে সাড়ে ৯হাজার পরিবার প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে। তারা আনন্দধারা প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক উদ্যোগ তৈরি করতে পারবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর গোটা রাজ্যে নতুন করে মোট ৮০হাজার ২৭০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে জুন মাসের মধ্যে ৪০১৩টি। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের ৩৬ হাজার ১২১টি, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৩২হাজার ১০৯টি এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে আরও ৮০২৭টি গোষ্ঠী তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো জেলায় জেলায় টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্লক ভিত্তিক টার্গেট পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার মহিলারা ব্যক্তিগতভাবে উপকৃত হওয়ায় তাঁরা এবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। যার প্রভাব ভোটে পড়েছে। সমষ্টিগতভাবেও মহিলাদের আর্থিক উদ্যোগ তৈরিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিকল্প নেই। তাই রাজ্য সরকার মহিলাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য আরও বেশি করে গোষ্ঠী গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলায় সাধারণ ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের কোনও মহিলা যাতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর থেকে বাদ না থাকেন সেজন্য গ্রামে গ্রামে সমীক্ষাও করা হয়েছে।
তাতে এখনও গোটা রাজ্যে প্রায় আট লক্ষ মহিলা গোষ্ঠীর আওতার বাইরে রয়েছেন। তাই তাঁদের প্রত্যেককে গোষ্ঠীর আওতায় আনার জন্য নতুন করে আরও ৮০হাজার গোষ্ঠী গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।