আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
ভরতপুর-১ ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এত বছর যা হয়েছে-তা মানা যায় না। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ওই সমস্ত ঘাটের নিলাম করা হবে।
কুয়ে নদীর উপর ওই এলাকার বালিচোনা, কোল্লা ও সুখদানপুর গ্রামে তিনটি ফেরিঘাট রয়েছে। সেগুলি চালান চারজন। অভিযোগ, তাঁরা প্রতি বর্ষায় নিজেরা নৌকার দাঁড় ধরেন। অন্য সময়ে নদীর উপর দিয়ে হেঁটে গেলেও পারাপারের টাকা আদায় করেন। অথচ কোনও রসিদ দেওয়া হয় না। একবার পারাপারের জন্য জনপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। সুখদানপুর ও কোল্লা ফেরিঘাট দিয়ে প্রচুর বাসিন্দা যাতায়াত করেন। অথচ সরকারিভাবে এই চারটি ফেরিঘাটের জন্য এখনও পর্যন্ত টেন্ডার করা হয়নি। ফলে সরকারি কোষাগার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
কোল্লা ফেরিঘাটের মাঝি মফিজুল শেখ বলেন, পঞ্চায়েত, ব্লক বুঝি না। আমি খরচ করে ঘাট তৈরি করেছি। আমিই পারের টাকা আদায় করব। এর জন্য রসিদও দিতে পারব না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহু বছর ধরে গায়ের জোরে ওই চারজন ফেরিঘাট পরিচালনা করছে। তবে ওদের পিছনে প্রভাবশালীদের মদত রয়েছে। কোল্লা গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ফেরিঘাটে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় হয়। কিন্তু সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা পড়ে না। সেই টাকা কয়েকজন প্রভাবশালীর মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়। পঞ্চায়েত থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
গ্রামের পূর্বপাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, ফেরিঘাট চালানোর ক্ষমতা আমাদেরও রয়েছে। ঘাটের ডাক হলে নিলামে অংশ নিতে পারতাম। কিন্তু সেসবের সুযোগ নেই।
এসমস্ত ফেরিঘাটে পরিকাঠামোরও অভাব রয়েছে। রাতে আলোর ব্যবস্থা নেই। ফেরিঘাটের পাড়ে দাঁড়ানোর জন্য ছাউনি পর্যন্ত নেই। হেলতে দুলতে নৌকা বা বাঁশের ব্রিজে চড়তে হয়। তাতে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে। গড্ডা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ভুলি বেগম মোল্লা বলেন, আমি ১০ বছর প্রধান ছিলাম। পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও ফেরিঘাটের ডাক হয়নি। বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান গোলাপি খাতুনও চারটি ফেরিঘাটের নিলাম হয় না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যাঁরা ঘাট চালান, সম্প্রতি বিডিও তাঁদের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। কী কারণে সেটা জানি না। তবে আমি মনে করি, ফেরিঘাটের নিলাম হওয়া দরকার। সরকারি রাজস্ব জমা পড়া উচিত। বিষয়টি নিয়ে বিডিওর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।