আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
হাতিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর গ্রামে বহু প্রাচীন একটি পুকুর ছিল। সেটি দফায় দফায় ভরাট করা হচ্ছিল। পুকুর ভরাটের কাজে জমি মাফিয়াদের একাংশ যুক্ত থাকায় গ্রামবাসীরা কেউ মুখ খুলতে পারেননি। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে তাঁরা সাহস পেয়েছেন। এদিন সকালে পুকুর ভরাট হতে দেখেই মহিলারা পথে নামেন।
স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, শিবপুর গ্রামে প্রাচীন পুকুরটি কিছুটা সরকারি খাস জমি ও কিছুটা ব্যক্তিগত জমিতে রয়েছে। এটি এলাকার জলনিকাশির কাজে ব্যবহৃত হয়। স্থানীয় কিছু চাষি বর্ষার পর পুকুরের জল পাট পচানোর কাজে ব্যবহার করেন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রাক্টরে করে মাটি এনে জমি মাফিয়ারা ওই পুকুরটি ভরাট করছিল। ফলে পুকুরটির বেশিরভাগ অংশ ইতিমধ্যে ভরাট হয়ে গিয়েছে। পুকুর ভরাটের সঙ্গে যুক্ত লোকজন এলাকায় এতটাই প্রভাবশালী যে, তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস করছেন না। এতে পঞ্চায়েত সদস্যদের মদতের অভিযোগও তুলেছেন গ্রামবাসীরা। এলাকার সিপিএমের পঞ্চায়েতের সদস্যকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি উত্তর দেননি। ফলে এবিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। তবে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণ মাঝি বলেন, লিখিত ও মৌখিকভাবে পুকুর ভরাটের কোনও অভিযোগ আমার কাছে নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। কোথাও অনৈতিক কাজ হলে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব। বিক্ষোভকারী মহিলারা জানান, শিবপুর গ্রামের পুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে বর্ষার সময় গ্রামে জল জমতে পারে। এর আগেও একবার সরকারি আধিকারিকরা এসে পুকুর ভরাটের কাজ আটকে দিয়েছেন। তারপরও ফের ট্রাক্টরে করে বালি-মাটি এনে ফেলা হচ্ছে।