আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গ্রামের রাস্তায় বালিভর্তি ডাম্পার বা লরিগুলি অত্যন্ত বেপরোয়াভাবে যাতায়াত করে। অনেকে অবৈধভাবেও বালির কারবার করে। বালি মাফিয়াদের দাপটে কেউ মুখ খোলার সাহস দেখায় না। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, দিন-রাত সবসময় রাস্তা দিয়ে বালির গাড়ি যাচ্ছে। বহু ডাম্পারে অতিরিক্তি বালি ভর্তি থাকে। রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করাই দায় হয়ে উঠেছে। যে কোনও সময় আরও বড় ধরনের দুঘর্টনা হতে পারে। এলাকার বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, কোনও চালান ছাড়াই খণ্ডঘোষের কয়েকটি ঘাট থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার অন্য এলাকার চালান ব্যবহার করা হচ্ছে। মাফিয়ারা নদীতে বিশেষ মেশিন বসিয়ে বালি তুলছে। অবৈধভাবে কারবার চলায় সরকার রাজস্ব পাচ্ছে না। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, অবৈধ কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আধিকারিকরা আচমকা বিভিন্ন ঘাটে অভিযান চালাবেন। জানা গিয়েছে, খণ্ডঘোষের পাশাপাশি মঙ্গলকোটের রাস্তাও বালি কারবারিদের দখলে চলে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে খোদ সভাধিপতি কোনওরকমে প্রাণে বাঁচেন। তাঁর গাড়ির সামনে বালিভর্তি ডাম্পার চলে আসে। এদিন খণ্ডঘোষে বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় গৃহবধূর মৃত্যুর পর এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা বলেন, বৃষ্টি শুরু হলে নদ থেকে বালি তোলা যাবে না। সেকারণে কারবারিরা নদ থেকে দেদার বালি তুলেছে। ডাম্পারে বালি নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন এলাকায় তা মজুত করা হচ্ছে। একাধিকবার ঘাটে আসার জন্য চালকরা বেপরোয়াভাবে ডাম্পার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। তারফলে হামেশাই দুর্ঘটনা হচ্ছে। এর আগে জামালপুরেও ডাম্পারের ধাক্কায় প্রাণ গিয়েছে।