আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
ঝাড়গ্রামের স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) ভুবনচন্দ্র হাঁসদা বলেন, ভোটের সময়েও ডেঙ্গু প্রতিরোধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। কেউ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, পথনাটিকা করে ও অন্যান্য মাধ্যমেও সচেতনতা মূলক প্রচার হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। তবে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই করা যাবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের তরফে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হচ্ছে পতঙ্গ বাহিত রোগের নির্মূল করতে। পুর এলাকার পাশাপাশি পঞ্চায়েত এলাকাতেও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। ভেক্টর ডিজিজ কন্ট্রোল টিম ও ভেক্টর ডিজিজ সার্ভিলেন্স টিম কাজ করছে। এছাড়া জেলায় লোক সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন স্থানীয় ভাষায় সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। তার ফলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকে ২ জন, গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকে ৩ জন, বেলপাহাড়ী ব্লকে ৯ জন, জামবনী ব্লকে ২ জন, বিনপুর-১ ব্লকে ৬ জন, ঝাড়গ্রাম ব্লকে ১২ জন, সাঁকরাইল ব্লকে ১ জন, ঝাড়গ্রাম শহরে (পুরএলাকায়) ৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তবে নয়াগ্রাম ব্লকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে কেউ আক্রান্ত হননি। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে ৪৯ জন, ২০২০ সালে ৩ জন, ২০২১ সালে ৩ জন, ২০২২ সালে ১৩৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে গত বছর প্রায় ২ হাজার জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হন। যা একপ্রকার রেকর্ড। শুধু গোপীবল্লভপুর-১ ও গোপীবল্লভপুর-২ ব্লক মিলিয়ে ৬০০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হন।
স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, জেলায় এক হাজারের বেশি আশা কর্মী ডেঙ্গু মোকাবিলায় লড়াই করছেন। এছাড়াও এএনএম ও কমিউনিটি হেলথ অফিসারদের চেষ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আবর্জনা পরিষ্কার ও স্প্রে করা হচ্ছে। জমা জল থাকলে মানুষকে সতর্ক করা হয়। এতে অনেকটাই সাফল্য মিলেছে। তবে ঝাড়গ্রাম ব্লকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গোপীবল্লভপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা শ্যামল শিট বলেন, গত বছর ডেঙ্গুর ভয়াবহ রূপ দেখেছে গোপীবল্লভপুর। ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। এবার পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।