আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
শহরের প্রত্যেক কাউন্সিলার সম্পর্কে রিপোর্ট ইতিমধ্যেই রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জমা পড়েছে। কয়েকজন নেতা বা কাউন্সিলার কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত নন। অথচ তাঁরা কয়েক বছরে ফুলেফেঁপে উঠেছেন। তাঁদের আর্থিক ‘সমৃদ্ধি’র পিছনে সরকারি জমি বিক্রি বা তোলাবাজি রয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। কংগ্রেস নেতা গৌরব সমাদ্দার বলেন, শহরজুড়ে জবরদখলকারীদের দৌরাত্ম্য রয়েছে। এলাকার নেতাদের টাকা দিয়েই তারা দোকান বসাচ্ছে। শহরের বাইরে উল্লাস, বৈকণ্ঠপুর, গাংপুর সহ সব জায়গাতেই সরকারি জমি জবরদখল হচ্ছে। কয়েকবার প্রশাসন জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ময়দানে নেমেছিল। কিন্তু এলাকার নেতাদের দাপটে প্রশাসনকেও পিছু হটতে হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, জবরদখলের অভিযোগ আসার পর নোটিস করা হয়েছিল। তারপরও কেউ অবৈধ নির্মাণ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শহরের বাসিন্দারা বলেন, বর্ধমানের কয়েকজন প্রকাশ্যে টাকা নিয়ে দোকান বসাচ্ছে। বাবুরবাগ এলাকায় সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অবৈধ নির্মাণ গড়ে উঠেছে। এক দোকানদার বলেন, এক পরিচিতের মাধ্যমে প্রভাবশালীর কাছে গিয়েছিলাম। দোকান তৈরির জন্য তিনি প্রথমে ৬০হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ৪৫হাজার টাকায় রফা হয়। ধারদেনা করে টাকা দিতে হয়েছে। এখন সরিয়ে দিলে পথে বসতে হবে। অনেকে বাইরে থেকে এসেও দোকান করেছে। বর্ধমান শহরের বিসি রোডে ফুটপাত জবরদখল অনেক আগেই হয়ে গিয়েছে। এই রাস্তায় যানজট নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। একইভাবে খোসবাগানের রাস্তাও জবরদখলকারীদের জন্য সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে। বাঁকা নদ ভরাট করে নির্মাণ হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বলেন, যারা সরকারি জায়গা দখল করে দোকান বা স্টল তৈরি করেছে তাদের নোটিস পাঠানো হবে। ফুটপাত দখল করতে দেওয়া যাবে না। বেশ কয়েকটি অবৈধ নির্মাণ আমরা ভেঙেছি। ভবিষ্যতেও একইরকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিয়েছেন। তারপরও কেউ অবৈধ কাজ করলে প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে। দল জবরদখল বা তোলাবাজি সমর্থন করে না। এক তৃণমূল নেতা বলেন, শহরে শুদ্ধিকরণের প্রয়োজন রয়েছে। কয়েকজনের জন্য দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের দেখেই এলাকার বাসিন্দারা অন্য দলে ভোট দিয়েছেন। আগামী দিনে নিশ্চয়ই এসব নেতাকে ব্যাকফুটে পাঠানো হবে।