আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অরূপ, গৌতম, নন্দিতা তুমিও বাদ নও। উন্নয়নের কাজে কোনও হস্তক্ষেপ কোরো না। অনেকের মতে, নন্দিতা বলে মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়কেই বোঝাতে চেয়েছেন। অনিন্দিতা বলেন, জানি না উনি নন্দিতা বলে আমাকে বোঝাতে চাইলেন কি না। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিটি নির্দেশ মেনে চলব। সাধ্যমতো বিশাল পুরসভার যতটা সম্ভব খোঁজ রাখার চেষ্টা করি। আরও ভালোভাবে কাজ করতে হবে। আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে আমরা মঙ্গলবারই পুরসভায় মিটিং ডেকেছি।জমি বেদখল নিয়ে নবান্ন সভাগৃহ থেকে কার্যত চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। বাইরের লোক টাকার বিনিময়ে জমি দখল করে নিচ্ছে। বাইরে থেকে সরকারি জমিতে ঘরবাড়ি বানাবে অথচ সরকারকে ট্যাক্স দেবে না। এটা চলতে দেব না। রাজ্যের একটা পরিচয় আছে। বাংলার কথা বলার লোক কমে যাচ্ছে। মনে রাখবেন আপনার অর্থের লোভের জন্য বাংলার আইডেন্টিটি ক্রাইসিস হচ্ছে।’ আসানসোল ও দুর্গাপুরে যেভাবে জমির সিন্ডিকেট গড়ে উঠছে তা নিয়ে মানুষ নাজেহাল। সরকারি জমির পাশাপাশি সাধারণ বাসিন্দাদের অজান্তেই হাতবদল হয়ে যাচ্ছে। এতে সরকারি অফিসের ‘হাতযশ’ রয়েছে বলে অভিযোগ। আসানসোলে একদা কয়লা কারবারিরাই এখন জমি মাফিয়া। ২নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে আসানসোল উত্তর থানা এলাকায় একের পর এক জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশেই মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি বলে অনেকে মনে করছেন। সম্প্রতি দুর্গাপুরের এমএএমসির কাছে এডিডিএর জমিও প্লট করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু জমি বেদখল নয়, পুকুর ভরাট নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী সরব হয়েছেন। তাঁর হুঁশিয়ারিতে আসানসোল দুর্গাপুরের পাশাপাশি পানাগড়, অণ্ডাল এলাকার মানুষজন আশার আলো দেখছেন। কারণ, চোখের সামনে তাঁরা একের পর এক পুকুর ‘ভ্যানিশ’ হতে দেখেছেন।
নদীয়ার শান্তিপুর পুরসভা এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তেমনই জঞ্জাল সাফাই নিয়ে কুপার্স ক্যাম্প পুরসভা ও আরামবাগ পুরসভার কাজে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। কেন সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট করা গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারী বলেন, স্থানীয় সমস্যার জেরে কাজ থমকে রয়েছে।