জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কারখানা তৈরির সময় পাবড়া গ্রামের অদূরে ছাইবাঁধটি তৈরি করা হয়। অভিযোগ, ছাইবাঁধ তৈরির জন্য জমি নেওয়া হলেও দূষিত জল ও কাদা কোন দিক দিয়ে বের করা হবে তার জন্য কোনও জমি নেওয়া হয়নি। ফলে বর্তমানে ছাইবাঁধের জল ও কাদা পাশের চাষজমিতে সরাসরি পড়ছে। ফলে চাষের জমিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমানে জমিগুলি চাষের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অথচ কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।
এদিন বিক্ষোভে শামিল সত্যজিৎ গড়াই, চায়না গড়াই, সোনালি গড়াই বলেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ার জন্য সকলে জমি দিয়েছিলাম। তখন জানানো হয়েছিল জমির বদলে কাজ দেওয়া হবে। আমাদের গ্রামের অদূরে ছাইবাঁধ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ছাইবাঁধের দূষিত জল ও কাদা কোন পথে বের করা হবে তখন জানানো হয়নি। ২০১৬ সাল থেকে চাষের জমির উপর ছাইবাঁধের জল ও কাদা যাচ্ছে। ধীরে ধীরে জমিগুলি চাষের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আট বছর পার হয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ এক টাকাও ক্ষতিপূরণ দেয়নি। না পেলাম কাজ, না পেয়েছি জমির দাম। চাষ করে কিছু টাকা আসত, তাও চলে গিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জোর করে আমাদের চাষের জমির উপর দিয়ে দূষিত জল ও কাদা ফেলছে। কিছু বলতে গেলে আমাদের শাসানো হয়। মিথ্যা মামলার ভয় দেখানো হয়।
জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, কেন্দ্র ও তাদের পরিচালিত সংস্থাগুলি একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে। ১০০দিনের কাজের টাকা বন্ধ। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জমি না নিয়েও ব্যবহার করছে। ক্ষতিপূরণ চাইতে গেলে কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীদের শাসাচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।
যদিও পাড়ার বিজেপি বিধায়ক বিধায়ক বলেন, এলাকার একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে রয়েছি। কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীদের বারবার আশ্বাস দেবে অথচ কাজ করবে না, সেটা মেনে নেওয়া যায় না। প্রয়োজনে আমি গ্রামবাসীদের সঙ্গে অনশনে বসব।
বিষয়টি নিয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প আধিকারিক চৈতন্য প্রকাশকে একাধিকবার ফোন করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।