জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
পাঁশকুড়া-দীঘা রেলপথ এখন ভোগান্তির লাইন হিসেবে এলাকার মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। সকালে দীঘাগামী তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস এক থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে ঢুকছে। ট্রেনটির সকাল সাড়ে ৮টায় তমলুক স্টেশনে ঢোকার কথা। সেটা সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টায় ঢুকছে। এক্সপ্রেস দেরিতে চলায় সকাল ৮টায় মেচেদা থেকে দীঘাগামী লোকালে প্রচণ্ড ভিড় হচ্ছে। পাঁশকুড়া স্টেশন ছাড়ার পর ওই লোকালে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন যাত্রীরা। অনেক সময় টিকিট কেটেও যাত্রীরা অত্যধিক ভিড়ে ট্রেনে উঠতেই পারছেন না। এজন্য দীঘাগামী লোকাল নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভ বাড়ছে।
২০০৯সালে দীঘা-পাঁশকুড়া লাইনে ইলেক্ট্রিফিকেশনের কাজ সম্পূর্ণ হয়। ওই বছর থেকে জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল শুরু করে। সেইসঙ্গে সকালে দীঘা যাওয়ার লোকাল ৮টা থেকে চলা শুরু হয়। তারপর ১৫বছর কেটে গিয়েছে। আজও সকালে দীঘা যাওয়ার লোকালের সংখ্যা বাড়েনি। সকাল ৮টার পর দীঘা যাওয়ার জন্য দিনের দ্বিতীয় ট্রেন দুপুর ২টা ২০মিনিটে। তাও সপ্তাহে চারদিন। সকালে লোকালের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি দীর্ঘদিনের। এনিয়ে যাত্রী থেকে দীঘার হোটেল মালিক, যাত্রী সংগঠন অনেকেই রেলের কাছে দাবি রেখেছে।
গত ১৯জুন বিভিন্ন স্টেশনে ভিড়ের জেরে অনেকে ট্রেনে উঠতে পারেননি। তমলুক, চণ্ডীপুর, বাজকুল সহ বিভিন্ন জায়গায় যাত্রী বিক্ষোভ হয়। আপাতত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে দীঘা লাইনে ট্রেন চলাচল করে সেই জন্য সচেষ্ট হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সদর কার্যালয় থেকে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা ট্র্যাক সেলুন কারে চড়ে লাইন পরিদর্শন করেন। তাঁরা দীঘা পর্যন্ত লাইন ভিজিট করেন। হলদিয়ার মতো দীঘা লাইনেও সর্বাধিক গতিবেগ ঘণ্টায় ৯৫কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ১১০কিলোমিটার করার পরিকল্পনা চলছে। ওই প্রক্রিয়া সফল হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ট্রেন চালাতে সুবিধা হবে।পাঁশকুড়া, হলদিয়া, দীঘা সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সরোজ ঘড়া বলেন, দীঘা লাইনে ট্রেন সময়মতো চলছে না। রোজ তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস দেরিতে চলছে। লোকালে অস্বাভাবিক ভিড় হচ্ছে। ট্রেনের ভিতর দাঁড়ানোর জায়গাটুকু থাকছে না। টিকিট কেটে মানুষ নাজেহাল হচ্ছেন। রেল কর্তৃপক্ষের যাত্রী পরিষেবার দিকে নজর দেওয়া উচিত। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হেডকোয়ার্টার থেকে ইঞ্জিনিয়াররা এসে ট্র্যাক পরিদর্শন করেছেন। আশা করব তাঁরা যাত্রী স্বার্থে কিছু ভালো সিদ্ধান্ত নেবেন।
তমলুকের স্টেশন ম্যানেজার প্রশান্তকুমার রায় বলেন, দীঘা লাইনে ট্রেনের গতিবেগ বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। সেই জন্য এদিন চিফ ট্র্যাক ইঞ্জিনিয়ার লাইন পরিদর্শনে এসেছিলেন।