শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
এদিন সকালে কলকাতা থেকে এক কাপ কফি খেয়ে জুন বেরিয়ে পড়েন মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে। প্রথমেই প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক মৃগেন মাইতির বাড়িতে গিয়ে তাঁর ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। আগে থেকেই সেখানে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কর্মী সমথর্করা হাজির ছিলেন। প্রয়াত নেতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে উপস্থিত মহিলা নেত্রী ও কর্মীদের বুকে জড়িয়ে ধরে বলেন আমাদের মহিলা ব্রিগেডদের এবার ভালো করে লড়তে হবে। আমরাই পারব দিদিকে আবার নবান্নে ফিরিয়ে আনতে। বাইরে অপেক্ষমান কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গেও একেবারে ঘরের মেয়ের মতো মিশে গেলেন।
সেখান থেকে চারচাকা ছেড়ে উঠে পড়লেন এক কর্মীর দু’চাকার গাড়িতে। ততক্ষণে খবর রটে গিয়েছে জুন মালিয়া এই পথ দিয়ে যাবেন। রাস্তার ধারে তাঁকে দেখতে ভিড় জমে যায়। স্কুটারের পিছনে বসে তাঁদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়তে নাড়তে সিপাইবাজার, এলআইসি মোড়, পঞ্চুরচক, গোলকুয়াচক, বটতলাচক, নিমতলাচক, সাহেবপুকুরচক, হয়ে পাটনাবাজারের শিব মন্দিরে পৌঁছে যান। সেখানে রাস্তায় তখন তিল ধারণের জায়গা নেই। শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডবের নেতৃত্বে অন্যান্য নেতা ও কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। ভিড়ের মাঝে ঢুকে পড়ে এলাকার মহিলাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাছে টেনে নেন। হাঁটতে হাঁটতেই মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। পরে মিলিত হন কর্মীদের সঙ্গে।
কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আমাদের প্রত্যেকের পরিবারে যেমন মনখারাপ, ঝগড়া, রাগ, ভালোবাসা থাকে, তেমনই দিদির এত বড় পরিবারে অভিমান, রাগ থাকতেই পারে। আমরা যেমন পরিবারে এইসব মিটিয়ে নিই, এখানে এখন এসব কিছু সরিয়ে রেখে আমাদের একটাই লক্ষ্য দিদি যেন আবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হন। ওঁকে আবার জিতিয়ে আনা আমাদের কর্তব্য। সব কিছু ভুলে এখন ওঁর পাশে আমাদের সবাইকে এক হয়ে থাকতে হবে। সবাইকে ভালোবেসে, কাছে টেনে নিয়ে, দিদিকে এখানে জিতিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, যা নন্দীগ্রাম তাই মেদিনীপুর। মুখ্যমন্ত্রী আপনাদের মেদিনীপুর থেকে হবে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না।
এদিনই ডেবরা বিধানসভা এলাকায় ভূমিপুত্র তৃণমূল প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীরও কর্মী বৈঠকের মধ্যে দিয়ে প্রচার শুরু করেন। সকালে পান্তা ভাত আর ফুলুরি খেয়ে বেরিয়ে পড়েন প্রচারে। সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় সহ নেতা ও কর্মীরা। তিনি এদিন কর্মী বৈঠকের পাশাপাশি আলোকেন্দ্র, তাবাগেড়িয়ায় চা চক্রেও মিলিত হন। বিকেলে গোলগ্রাম, মির্জাপুরেও কর্মিসভা করেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র মেনেই খেলা হবে। আমি মনে করি এই লড়াই উন্নয়ন বনাম সাম্প্রদায়িকতার লড়াই। তেলের দাম বাড়ার বিরুদ্ধে লড়াই।