উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
রবিবার পাঁশকুড়ার বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে আক্রান্ত এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার গৌরায়। তিনি দক্ষিণ মেচগ্রামে মেয়ের বাড়িতে থাকতেন। শনিবার তিনজন করোনা-আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। তমলুক ব্লকের চাপবসান এলাকার এক আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও পাঁশকুড়া এবং কোলাঘাট ব্লকের আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। দিন দু’য়েক আগে তমলুক পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে একজন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে থাকায় জেলায় উদ্বেগ ছড়াচ্ছে।
কোলাঘাট ব্লকে এপর্যন্ত মোট আক্রান্ত সংখ্যা ৯২৪ জন। পুজোর দিন কয়েক আগে পর্যন্ত ওই ব্লকে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ১৬ জন। সেটা বেড়ে এখন ৩৭ হয়েছে। গত এক মাসে ওই ব্লকে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। পুজোর পর সম্প্রতি বিভিন্ন ব্লকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এই বৃদ্ধির কারণ পুজোর ভিড় থেকে হলে এর ফল যে মারাত্মক হতে চলেছে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
জেলার এক বিএমওএইচ বলেন, করোনা আক্রান্ত বয়স্কদের ঝুঁকি আছেই। পাশাপাশি ৪০ থেকে ৫০এর মধ্যে বয়সিদের মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক। পরিসংখ্যান থেকে আমরা এটা পেয়েছি। তবে মাস্ক পরলে এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখলে ভয়ের কিছু নেই।
সংক্রমণ বাড়লেও হাটে বাজারে ধীরে ধীরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মুখ থেকে মাস্ক উধাও হয়ে যাচ্ছে। তমলুকে রাধামণি বাজার জেলার অন্যতম বড় বাজার। এখানে বুধ ও শনিবার হাট বসে। হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। কিন্তু, সেই বাজারের ছবি দেখে উদ্বিগ্ন ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তরের অফিসাররা। ১০ শতাংশ লোকজনের মুখেও মাস্ক নেই। অবিলম্বে বাজার কমিটি এনিয়ে সচেতন না হলে এর ফল ভুগতে হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
করোনা টেস্ট করতে গিয়ে বেশকিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তরের অফিসার-কর্মীরা। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এই মুহূর্তে আরটিপিসিআর টেস্ট করাতে চাইছেন না অনেকেই। উপসর্গ থাকার পরও যাঁদের র্যাপিড টেস্টে নেগেটিভ আসছে, তাঁদের আরও একদফায় আরটিপিসিআর টেস্ট জরুরি বলে চিকিৎসকরা মনে করছেন। কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রে ওই টেস্টে রাজি হচ্ছেন না লোকজন। সংক্রামিত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে আসা উপসর্গযুক্ত লোকজনের টেস্ট হচ্ছে। কিন্তু, বেশিরভাগ র্যাপিড টেস্টে আগ্রহী। যেকারণে আরটিপিসিআর টেস্ট কমে যাচ্ছে। তাছাড়া নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় করোনা পরীক্ষা করাই যাচ্ছে না। আশাকর্মী কিংবা এএনএম কর্মীরা যেতেই পারছেন না। তমলুক ব্লকের পিপুলবেড়্যা-১গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়খোদা এরকমই একটি জায়গা।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, টেস্টের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। তবে, পুজোর ভিড় থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে বলে এখনই বলার সময় আসেনি। আমরা গোটা পরিস্থিতির উপরেই নজর রাখছি।