উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
মঙ্গলবার বেলা ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে নন্দীগ্রাম-১গ্রাম ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের করপল্লিতে শহিদ বেদিতে শুভেন্দুবাবু মাল্যদান করবেন। তারপর সেখান থেকে সোজা তেখালি বাজার সংলগ্ন গোকুলনগর হাইস্কুল ময়দান। এখানেই জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। সমাবেশ স্থলে রয়েছে তিনটি মঞ্চ। যারমধ্যে একটি মঞ্চে শুভেন্দুবাবু সহ আগত সংসদ সদস্য এবং বিধায়করা উপস্থিত থাকবেন। অপর একটি মঞ্চে শহিদ পরিবারের লোকজন উপস্থিত হবেন। তিন নম্বর মঞ্চে শহিদদের ছবি থাকছে। সেখানে শ্রদ্ধা জানানোর ব্যবস্থা থাকছে।
গোটা কর্মসূচি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। মোট ১৭টি ড্রোন ক্যামেরা থাকবে। ব্যাপক ভিড়ের কথা মাথায় রেখে পাঁচটি বড় বড় এলইডি স্ক্রিন লাগানো হচ্ছে। মাঠে ঢোকার জন্য মোট পাঁচটি প্রবেশপথ থাকছে। বহু ছোট গাড়ি আসবে ধরে নিয়ে মোট চার জায়গায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পানীয় জলের পাউচের ব্যবস্থা থাকছে। নন্দীগ্রাম এবং খেজুরি বিধানসভা এলাকা থেকেই সিংহভাগ লোকজনকে জড়ো করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
হলদিয়া-নন্দীগ্রাম ফেরি পথে অনেক লোকজন কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাবেন। সেই উপলক্ষে রবিবার মন্ত্রীর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে হলদিয়ায় একটি বৈঠক হয়েছে। মূলত ফেরি সার্ভিস নিয়েই বৈঠক ছিল। গোকুলনগর অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্ব সভাস্থল তৈরির কাজ পরিচালনা করছে। ইতিমধ্যে ইভেন্ট ভাগ করে বিভিন্ন টিমকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। দূরবর্তী জেলার নেতারা সোমবারই চলে আসবেন। তাই তাঁদের কোথায় রাখা হবে তার তালিকা তৈরি করে ফেলা হয়েছে।
২০০৭ সালে ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’ ঘটিয়েছিল বাম জমানার পুলিস। জমিরক্ষার আন্দোলনকারীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছিল। তাতে মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকে রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের বর্ষপূর্তি হিসেবে ওই দিনটিতে শহিদদের স্মরণ করছে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। কিন্তু, ১৩তম বর্ষের ওই অনুষ্ঠান আলাদা মাত্রা পেয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর নন্দীগ্রাম কলেজ মাঠে বিজয়া সম্মিলনীতে শুভেন্দুবাবু বেশ আক্রমণাত্মক ছিলেন। সেই দিনই ১০ তারিখ সমাবেশ করবেন বলে জানিয়েছিলেন। এখান থেকে তিনি কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য।
নন্দীগ্রাম-১ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পাল বলেন, প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জমায়েত হবে। মোট তিনটি মঞ্চ থাকছে। ১৫ থেকে ১৭টি ড্রোন ক্যামেরা এবং ৩০০ ভলান্টিয়ার থাকছে। রাজ্যের অন্যান্য জেলা থেকেও অতিথিদের আসার কথা আছে।