উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
লকডাউনের জেরে গত ২২মার্চ থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ। তারপর দীর্ঘ সময় কেটে গিয়েছে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে সৈকত সুন্দরী দীঘা। কিন্তু, দীঘায় বেশিরভাগ পর্যটক রেলপথে যেতে পছন্দ করেন। রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক না হওয়ায় উইক এন্ডে সেভাবে ভিড় জমছে না। অবশেষে বুধবার থেকে মেচেদা-দীঘা এবং দীঘা-পাঁশকুড়া লোকাল চলাচল শুরু হচ্ছে। মূলত অফিস টাইমে দীঘা এবং হলদিয়া লাইনে ট্রেন যাতায়াত শুরু হচ্ছে। মেচেদা-দীঘা সকাল ৮টায় মেচেদায় ছাড়বে। দীঘায় পৌঁছবে সকাল ১০টা ৫৭মিনিটে। ওই ট্রেন দীঘায় ছাড়বে সওয়া ১১টায়। মেচেদায় পৌঁছবে বেলা ২টো ১০মিনিটে। পাঁশকুড়া-দীঘা লোকাল পাঁশকুড়ায় ছাড়বে সন্ধ্যা ৭টা ৩৫মিনিটে। দীঘায় পৌঁছবে রাত ১০টা পাঁচ মিনিটে। নিত্যযাত্রীরা দক্ষিণ-পূর্ব রেলে পাঁশকুড়া স্টেশনে নেমে ওই ট্রেন ধরে গন্তব্যস্থলে যান। সকাল ৫টা ৪৫মিনিটে ওই ট্রেন দীঘা থেকে রওনা দেবে। পাঁশকুড়ায় পৌঁছবে সকাল ৮টা ৫মিনিটে।
হাওড়া-হলদিয়া লোকাল হাওড়া স্টেশনে সকাল সওয়া ৬টায় ছাড়বে। হলদিয়ায় পৌঁছবে সকাল ৯টা ৫০মিনিটে। আরেকটি লোকাল সন্ধ্যা ৬টায় হাওড়ায় ছাড়বে। হলদিয়ায় পৌঁছবে রাত ৯টা ৪০মিনিটে। হলদিয়া থেকে সকাল ৬টা ৫মিনিট এবং বিকেল ৫টা ১৫মিনিটে দু’টি লোকাল হাওড়ার উদ্দেশে ছাড়বে। অফিস যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে সকাল ও বিকেলে আগের রুটিন অনুযায়ী দু’জোড়া ট্রেন চলাচল করবে।
দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, দীপাবলির সময় দীঘায় খুব ভিড় হয় এমনটা নয়। তবে, লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার ফলে দীঘা পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়বে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসবে দীঘা। আমরাও বেশ কিছুদিন ধরে দীঘাগামী লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি তুলেছিলাম। উৎসব স্পেশাল হিসেবে একটি ট্রেন চালানো শুরু হলেও তাতে খুব বেশি সাড়া পড়েনি। কারণ, এসি সুপারের ভাড়া অনেক। সাধারণ পর্যটকদের পক্ষে ওই ভাড়া দিয়ে দীঘায় আসা সম্ভব নয়। কিন্তু, লোকাল চালু হওয়ার ফলে বহু পর্যটক ট্রেনে চড়ে দীঘায় আসবেন।