উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সাতসকালে লাভপুরের ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা বৃদ্ধ দম্পতি পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় ও স্বপ্না চট্টোপাধ্যায়ের দেহ বাড়ির মধ্যে পৃথক দু’টি বিছানায় পাওয়া যায়। ভারী কোনও বস্তু দিয়ে তাঁদের মাথায় আঘাত করে খুন করা হয় বলে অনুমান করে পুলিস। সেইমতো পুলিসকুকুর নিয়ে এসে সেদিনই বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। ফরেন্সিক দল এসেও বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। সেই ঘটনার একমাস পর ওই দম্পতির প্রতিবেশী দেবনাথ কোনাই ও সোমনাথ কোনাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। চলতি সপ্তাহেই তাদের বোলপুর আদালতে হাজির করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই মৃতার ভাইয়ের খোঁজ পাওয়া যায়। সেইমতো শুক্রবার লাভপুর থেকে পুলিসের একটি দল বিহারের জামালপুরে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত ব্যবসা সূত্রে গত পাঁচবছর ধরে সেখানেই থাকত।
পুলিসের দাবি, পৈতৃক ভিটে ও পুকুরের দখল নেওয়া নিয়ে আগে থেকেই বিবাদ চলছিল। পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় শিক্ষকতা করতেন। স্বপ্নাদেবী রেলের কর্মী ছিলেন। তাঁরা কর্মসূত্রে আসানসোলে থাকতেন। অবসর নেওয়ার পর স্বপ্নাদেবীরা বাপেরবাড়ি লাভপুরের ব্রাহ্মণপাড়ায় চলে আসেন। বাপেরবাড়ির ভিটে স্বপ্নাদেবী তাঁর বাবার কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন। এব্যাপারে পুলিসের দাবি, পৈতৃক সম্পত্তি ও পুকুর কেনার ঘটনায় স্বপ্নাদেবীর ভাইদের সায় ছিল না। তাই আক্রোশ তৈরি হয়। তাছাড়া তাদের পুকুরে আগে দেবনাথ কোনাই মাছ চাষ করত। তা নিয়েও বিবাদ হয়েছিল। সেসময় স্বপ্নাদেবীর ভাইয়ের সঙ্গে দেবনাথদের বার বার ফোনে যোগাযোগ হয়েছিল বলে পুলিস তদন্তে জানতে পেরেছে। প্রসঙ্গত, লাভপুরে দম্পতি খুনের ঘটনায় কিনারা করতে পুলিসকে হিমশিম খেতে হয়। অবশেষে একমাসের বেশি সময় পর পুলিস তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বোলপুরের এসডিপিও অভিষেক রায় বলেন, লাভপুরে দম্পতি খুনের ঘটনায় সম্পত্তিগত বিবাদই আপাতত তদন্তে উঠে এসেছে। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এব্যাপারে মৃত দম্পতির ছেলে কল্লোল চট্টোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, পুলিসের প্রতি আস্থা রয়েছে। পুলিসকে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতাও করব।