অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
এবিষয়ে কাটোয়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা পাওয়ার পরই আমরা ভেসেল পরিষেবা চালু করেছি। অন্য সময় একটি ভেসেল সর্বাধিক ৮০ জন যাত্রী পারাপার করতে পারত। কিন্তু এখন ২৫ জনের বেশি যাত্রী ওঠানো যাবে না। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই কাটোয়া-বল্লভপাড়া ফেরিঘাটে যাত্রী পারাপারের জন্য দুটি ভেসেল পুরসভার হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। দুটি ভেসেলে ৮০ জন করে মোট ১৬০ জন যাত্রী এক সঙ্গে পারাপার করতে পারেন। এতে পূর্ব বর্ধমান ও নদীয়া জেলার যোগাযোগ রক্ষা করা যায়। কিন্তু করোনা সংক্রমণের জেরে দীর্ঘদিন এই পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়।
এদিন লঞ্চের মধ্যে যাতে যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ওঠেন তারজন্য ফেরিঘাটের কর্মীরা অনবরত মাইকে আবেদন করেন। ফেরিঘাটের ইজারাদার অশোক সরকার বলেন, নিয়ম মেনেই সাধারণ যাত্রীদের জন্য বল্লভপাড়া- কাটোয়া ফেরি সার্ভিস চালু করা হল। যাত্রীরা সরকারি নিয়ম মানছে কি না তা নজর রাখছে কাটোয়া থানার পুলিস। কাটোয়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮৪ সালে কাটোয়া-বল্লভপাড়া ফেরিঘাট তৈরি হয়। ভাগীরথী নদীর কাটোয়া শহরে ফেরিঘাটে জেটি করে নৌকা দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু করে। সেই সময় থেকে কাটোয়া পুরসভা ইজারাদার দিয়ে কাটোয়া-বল্লভপাড়া ফেরিঘাট পরিচালনা করে আসছে। নদীয়া জেলার একটা বড় অংশের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার যোগাযোগকারী অন্যতম পথ হল কাটোয়া-বল্লভপাড়া ফেরিঘাট।