আত্মবিশ্বাস এত বৃদ্ধি পাবে যে, কোনও কাজই কঠিন মনে হবে না। সঞ্চয় বেশ ভালো হবে। ... বিশদ
এদিন হাসপাতালে শুয়ে জুব্বার শেখ বলেন, আমি বাইকে করে বাড়ি ফেরার সময় আমার উপর হামলা হয়। কেন মারল তা আমি জানি না। জুব্বার শেখের ছেলে সুমন শেখ বলেন, বাবা বাড়ি ফেরার পথে বেতবেরিয়ার কিছু লোকজন হামলা চালায়। তিনজনকে বাবা চিনতেও পেরেছিল। বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপও দেওয়া হয়েছে। পুলিস ঘটনার যথাযথ তদন্ত করুক। যারা মেরেছে, তাদের শাস্তি দিতে হবে। ব্রহ্মনগরের পঞ্চায়েত সদস্য সফিউদ্দিন শেখ ফোন করা হলে তিনি বলেন, এটা আমি ঠিক জানি না। আমি কিছু বলতে পারব না। চাপড়ার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জেবের শেখ বলেন, আমি কয়েকজনের কাছ থেকে শুনেছি ওর একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। আবার এও শুনেছি কয়েকজন নাকি ওকে মেরেছে। ঠিক কী ঘটনা তা আমারও জানা নেই। চাপড়ার তৃণমূল বিধায়ক রুকবানু রহমান বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। বাইক থেকে পড়েই ওই ব্যক্তি জখম হয়েছেন।
গত মাসে চাপড়ার ব্রহ্মনগরে বোমার আঘাতে একজনের মৃত্যু হয়। জখম হন আরও দু’জন। সেই ঘটনায় মৃত বেতবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রফিক শেখ এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। ঘটনায় এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব সামনে আসে। এর সপ্তাহ খানেক আগে বেতবেড়িয়া গ্রামের তৃণমূল নেতা আশরফ ঘরামির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ওই গ্রামের মানুষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল কয়েক মাস আগে। সম্প্রতি ওই নেতার বিরুদ্ধে দল কঠোর মনোভাব প্রকাশ করায় বিজেপি থেকে আবার সকলে তৃণমূলে ফেরেন। এরপর থেকেই আশরফের বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন বিভিন্ন এলাকা দখলের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। ব্রহ্মনগরের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য আশরফ ঘনিষ্ঠ নেতা হওয়ায় তার উপরেই সেদিন হামলা চালাতে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সেদিন পাল্টা হামলায় প্রাণ যায় বেতবেড়িয়ার রফিকের। এরপর ঘটনায় ছ’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। এমনকী দীর্ঘদিন ধরে জাল পেতে গ্রেপ্তার করা হয় দাপুটে তৃণমূল নেতা আশরাফ ঘরামিকে। দলের একটি সূত্রে খবর, তারপর থেকেই ওই দুই গ্রামের মধ্যে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। পুলিসের পদস্থ কর্তারা দুই গ্রামকেই ‘ক্লোজ ওয়াচে’ রেখেছে। কিন্তু তারই ফাঁকে মাঝে মধ্যেই ঘটে যাচ্ছে গণ্ডগোল। সোমবার রাতেও তেমনই একটি ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রফিকের খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সাহেব শেখের ভাই হল জুব্বার। তার উপর তৃণমূলেরই একটা অংশ হামলা চালিয়েছে অভিযোগ। যদিও সে কথা স্বীকার করতে কেউই রাজি নন।