উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
আরামবাগ মহকুমা পূর্ত দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিরঞ্জন ভড় বলেন, রামকৃষ্ণ সেতু কয়েক মাস আগেই মেরামতি করা হয়েছে। কিন্তু তারপর সেতুর উপর দিয়ে ওভারলোডেড লরির সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এরফলে প্রাচীন ওই সেতুটিতে প্রভাব পড়ছে। যেকোনও সময় তা ভেঙে পড়ে যেতে পারে। তাই অবিলম্বে ট্রাফিক সংক্রান্ত ব্যবস্থা নিতে মহকুমা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পূর্ত দপ্তর সূত্রে খবর, আরামবাগের পল্লিশ্রীতে দ্বারকেশ্বর নদের উপর ওই রামকৃষ্ণ সেতু প্রায় ৫০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল। ওই সেতুর মাধ্যমেই আরামবাগ তথা কলকাতার সঙ্গে মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলার যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে। তাই যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে রামকৃষ্ণ সেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুই জেলা থেকে প্রতিদিন বহু যান চলাচল করায় সেতুটির ভারবহন ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমছে। ভয়ঙ্কর বেহাল হয়ে যাওয়ায় সেতুটির আমূল সংস্কারের জন্য পূর্ত দপ্তর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ কাজ করে। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কাজ চলায় সেতুর একটি লেন বন্ধ রাখা হয়। তার জেরে যাত্রীদের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। তাই রামকৃষ্ণ সেতুর উপর চাপ কমাতে দীর্ঘদিন ধরেই আরামবাগে দ্বারকেশ্বর নদের উপর বিকল্প সেতুর দাবি উঠেছে। সেই বিকল্প সেতু নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে পূর্ত দপ্তরের তরফে সার্ভে করা হয়েছে। তারই মধ্যে রামকৃষ্ণ সেতু সংক্রান্ত পূর্ত দপ্তরের এই চিঠি ঘিরে জল্পনা বেড়েছে।
পূর্ত দপ্তরের দাবি, এই রামকৃষ্ণ সেতুর উপর গড়ে প্রতিদিন ৩হাজার ৫০০টি ওভারলোডেড লরি চলাচল করছে। বাঁকুড়া থেকে আরামবাগ হয়ে কলকাতা ও বর্ধমান থেকে আরামবাগ হয়ে মেদিনীপুর যাওয়ার ২ ও ৭ নম্বর রাজ্য সড়ক দিয়ে ওই ওভারলোডেড লরি যাতায়াত করছে। যা সেতুর ভারবহনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট চাপের। পূর্ত দপ্তরের অভিযোগ, পরিবহণ দপ্তরের অনুমোদন অনুযায়ী যে লোড নিয়ে লরিগুলির যাতায়াত করার কথা, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি পণ্য পরিবহণ করছে। অবিলম্বে এই সেতুর উপর ওভারলোডেড লরির চলাচল নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে তা ভেঙে পড়ারই আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন বিভিন্ন সময় বাঁকুড়া থেকে আরামবাগ হয়ে কলকাতার দিকে ওভারলোডেড লরি যাতায়াত করে বলে যানজটের সমস্যায় ভুগতে হয়। পুলিস সেইসব লরিগুলির যাতায়াত নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থা নেয় না। এমনকী, ওভারলোডেড লরি থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে। পুলিস অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিসের দাবি, ওভারলোডিংয়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরিবহণ দপ্তরের তরফেও অভিযান চালানো হচ্ছে। সামগ্রীর উপযুক্ত চালান না থাকলেই সেখান থেকে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। নির্বাচন পর্বের জন্য সেই অভিযানের গতি শ্লথ হলেও ফের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে রামকৃষ্ণ সেতুর নীচে পুরসভা জঞ্জাল ফেলায় তাতেও প্রভাব পড়বে বলে পূর্ত দপ্তরের দাবি। নিরঞ্জনবাবু বলেন, সেতুর থামগুলির নীচে জঞ্জাল থাকায় তার কেমিক্যাল ক্ষতি করছে।