জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
শহরে যানজটের চাপ কমাতে শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন থেকে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েও অতীতে রেলকে বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। ট্রেন বাড়লে যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা বাড়বে। কিন্তু জংশন স্টেশনে ঢোকার রাস্তা অপরিসর হওয়ায় সেই পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়িত করা যায়নি বলে জানান উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আধিকারিকরা। জংশন ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে স্টেশনে ঢোকার রাস্তার দু’ধারে সারি সারি দোকান গজিয়ে ওঠায় রাস্তা অপরিসর হয়ে গিয়েছে। এ কারণে শুধু জংশন রেল স্টেশন নয়, তেনজিং নোরগে কেন্দ্রীয় বাস টার্সিনাস থেকে বাস চলাচলে সমস্যা হয়। সেজন্য এলাকায় ভোর থেকে রাত পর্যন্ত যানজট সমস্যা লেগেই থাকে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, শিলিগুড়ি জংশনে ঢোকার মুখে রাস্তা অপ্রশস্ত হওয়ায় ওই স্টেশনের গুরুত্ব সেভাবে বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। স্টেশনকে রেল আধুনিকভাবে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু করছে। প্রথম পর্বের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দূরপাল্লার ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো যাচ্ছে না। এবার যদি রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে শিলিগুড়ি জংশন এলাকাতেও রাস্তার দু’ধারের জবরদখল জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ করে, তাহলে শিলিগুড়ি জংশনে দূরপাল্লার ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে। একইভাবে এনজেপি স্টেশনে ঢোকার রাস্তা অনেকটা প্রশস্ত হবে। রেলের তরফে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে।
রাস্তাটি অপরিসর হওয়ায় তেনজিং নোরগে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাস থেকে বাস বেরনোর সময় যানজট তৈরি হয়। এতে দূরপাল্লার বাসযাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়। এই রাস্তার দু’পাশের জবরদখল সরানো হলে শিলিগুড়ি জংশনের মতো বাস টার্মিনাসটির গুরুত্ব বাড়বে। জংশন থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের সংখ্যা বাড়লে ট্রেন যাত্রীরা স্টেশনে নেমে হাতের কাছেই বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার বাস, গাড়ি ধরতে পারবেন। এতে শিলিগুড়ি শহরের উপর যানবাহনের চাপ অনেকটা কমবে বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও এ ব্যাপারে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। রেলের এক আধিকারিক বলেন, আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো জেলা প্রশাসন জবরদখল সরানোর অভিযানে কতটা সফল হয় তা দেখে রেল শিলিগুড়ি জংশনের গুরুত্ব বৃদ্ধির ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে।