আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের চারটি ব্লকের ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬২৪টি বাড়ির ৬ লক্ষ ৭১ হাজার ৯০৮ জন মানুষের কাছে জলজীবন মিশন প্রকল্পের পানীয় জলের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। ইতিমধ্যেই ৫৮ হাজার ৩৩২ বাড়িতে পানীয় জলের পরিষেবা পৌঁছে গিয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের শিলিগুড়ি ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কেশব কুমার বলেন, আমরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছি। চারটি ব্লকেই সমানভাবে কাজ চলছে। এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা সমস্ত বাড়িতে পানীয় জল আশা করছি পৌঁছে দিতে পারব। ঠিকাদার সংস্থাগুলিকে দ্রুত ও নিখুঁত কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে কোনও এলাকা থেকে কোনও ধরনের অভিযোগ না আসে। জলের লাইনের পাইপ বসানোর জন্য কোথাও কোথাও ছোটখাট সমস্যা হয়েছে। তবে সেসব সমস্যা কাটিয়ে কাজ চলছে। পিএইচই সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমা পরিষদের চারটি ব্লকের মধ্যে সবচাইতে বড় ব্লক ফাঁসিদেওয়া। এই ব্লকের মোট ৫১ হাজার ৬৫৬ বাড়িতে জনসংখ্যা ২ লক্ষ ৪ হাজার ৭০৪ জন। এখনও পর্যন্ত এই ব্লকের ১৩ হাজার ৫৯০টি বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ফাঁসিদেওয়ার পরেই দ্বিতীয় স্থানে মাটিগাড়া ব্লক। এই ব্লকে ৫০ হাজার ৬৭২টি বাড়িতে বাস ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭৪০ জনের। এই ব্লকের ১১ হাজার ৯৪৩টি বাড়িতে জলের লাইন পৌছে দিয়েছে দপ্তর। তৃতীয় স্থানে রয়েছে নকশালবাড়ি ব্লক। এই ব্লকের ৪৪ হাজার ৭৫১টি বাড়ির মোট জনসংখ্যা ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯০৯ জন। এখনও পর্যন্ত নকশালবাড়ি ব্লকের ২১ হাজার ৫০টি বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া গিয়েছে। মহকুমা পরিষদের সবচেয়ে ছোট ব্লক হিসেবে পরিচিত খড়িবাড়ি। এই ব্লকের ২৬ হাজার ৫৪৫টি বাড়িতে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৫৫৫ জন বসবাস করে। তারমধ্যে এখনও পর্যন্ত ১১ হাজার ৯৪৩ বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পেয়েছেন। প্রায় ৫০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করে পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে চাইছে দপ্তর।