আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন তৈরি করার সময় ১২ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ন্তীপাড়ার জলপাইগুড়ি হাইস্কুলের পুকুর খনন করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল স্টিম ইঞ্জিনের জলের চাহিদা মেটানো। আবার পুকুর খননের সময় ওঠা মাটি স্টেশন উঁচু করা এবং লাইন পাতার কাজে ব্যবহার করা হয়। পরবর্তীতে পুকুরটি রেলের পক্ষ থেকে ১ টাকার বিনিময়ে জলপাইগুড়ি হাইস্কুলকে মউ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে হস্তান্তর করা হয়। যে কারণে পুকুরটি বর্তমানে জলপাইগুড়ি হাইস্কুলের বলেই শহরে পরিচিত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যা অবস্থা তাতে পুকুরটি একটি ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার মণীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, পুকুরটির আবর্জনা বেশ কয়েকবার পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও পুকুরটি আবর্জনায় ভরে ওঠে। মাঝেমধ্যে পচা গন্ধে এলাকায় থাকা যায় না। বাধ্য হয়েই পাশে থাকা স্কুল ছুটি দিয়ে দিতে হয়। পুকুর বাঁচাতে পুরসভাকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে যাতে সংস্কার এবং সৌন্দর্যায়ন করা হয়।
অন্যদিকে, একই অবস্থা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুলালদিঘিও। পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, দুলালদিঘি এবং জয়ন্তীপাড়ার পুকুর সংস্কার এবং সৌন্দার্যায়নের জন্য এমইডির পক্ষ থেকে ডিপিআর তৈরি করে পাঠানো হয়েছিল। অবশেষে স্টেট লেবেল টেকনিক্যাল কমিটির পক্ষ থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেড় কোটি টাকা খরচে এই কাজ হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, দু’টি পুকুরের চারপাশ বাঁধাই করার পাশাপাশি থাকবে বসার জায়গা। থাকবে ছোট একটি শেলটার রুমও। আলো এবং ফুলের গাছ দিয়ে পুকুরের চারপাশ সাজিয়ে তোলা হবে।