আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
অন্যদিকে, সাগরদিঘির পূর্ব দিকের রাস্তার ফুটপাথ দখল করে বাইক, টোটো, দাঁড়িয়ে থাকে। এতে পথচারীদের সমস্যা হয়। এসব নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। পুরসভার দাবি, নিয়মিত জঞ্জাল অপসারণ করা হয়। এসব বিষয়ে বাসিন্দাদের আরও সচেতন হতে হবে। কিন্তু বাসিন্দারা পুরসভাকেই আরও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে সরব হয়েছেন। তারমধ্যে কোচবিহার পুরসভাও রয়েছে।
মঙ্গলবার পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাজার সংলগ্ন স্থানে গিয়ে দেখা গিয়েছে রাস্তার ধারে প্রচুর জঞ্জাল জমা হয়ে রয়েছে। বৃষ্টিতে সেসব রাস্তার উপর উঠে এসেছে। সেখান দিয়েই বাজার সেরে ফিরছিলেন শহরের বিশিষ্ট গবেষক, সংগ্রাহক তথা ওই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা ঋষিকল্প পাল। তিনি বলেন, এসব অত্যন্ত দুঃখজনক। শুধুমাত্র নতুন বাজারের সামনে নয় শহরের বিভিন্ন জায়গায় এমনভাবে জঞ্জাল পড়ে রয়েছে। পুরসভার উচিত অবিলম্বে এসব জঞ্জাল পরিষ্কার করা। সেইসঙ্গে সাধারণ নাগরিকদেরও উচিত যেখানে সেখানে জঞ্জাল না ফেলা। নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা অপর্ণা দাস বলেন, রাস্তার ধারে জঞ্জাল জমা হয়ে থাকে। যা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। পুরসভা ঠিকমতো কাজ করছে না। কোচবিহারের মহকুমা শাসক কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জঞ্জাল অপসারণের বিষয়ে পুরসভাকে একাধিকবার বলেছি। কর্মী, চেয়ারম্যান সকলকেই বলা হয়েছে। জেলাশাসক বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। আমরা আবার নতুন করে সমীক্ষা করব। সাগরদিঘি পাড়ে যাতে যানবাহন না দাঁড়ায় সেই বিষয়টিতেও নজর দেওয়া হবে। কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা বলেন, সাগরদিঘির পাড়ে যানবাহন রাখার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, সারা বছরই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলে। কিন্তু যতক্ষণ না নাগরিকরা সচেতন হবেন ততক্ষণ শহর পরিষ্কার রাখা মুশকিল। অনেকেই পুরসভার ভ্যানে জঞ্জাল না দিয়ে রাতে নিকাশিনালার মধ্যে তা ফেলে দেন। এবার থেকে ধরতে পারলে জরিমানা করা হবে। ভবানীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন পাওয়ার হাউস এলাকায় রাস্তার ধারে মানুষ যদি মূত্র ত্যাগ করে তাহলে কি করা যাবে? নিজের শহরকে ভালো না বাসলে কি করা যাবে? কলকাতা থেকে ফিরে আলোচনায় বসব। মুখ্যমন্ত্রী যেসব নির্দেশ দিয়েছেন সেসব পালন করতে হবে।