আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
সোমবার গভীর রাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ জোর বৃষ্টি হয় শিলিগুড়িতে। এর প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে সূর্য সেন পার্কের কাছে গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। ফলে মহাকালপল্লির একাংশের বিদ্যুৎ উধাও হয়ে যায়। ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গানগরে ট্রান্সফরমার বিকল হয়। ফলে দুর্গানগর, খিচুড়িপট্টি, ভীম কলোনির বিদ্যুৎ পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটে। বহু বাড়ি অন্ধকারে ডুবে যায়। আবার কিছু বাড়িতে লো-ভেলটেজ ছিল।শিলিগুড়ি পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য কমল আগরওয়াল বলেন, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির জেরে কিছু এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির শিলিগুড়ি টাউন ডিভিশনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা পরিষেবা স্বাভাবিক করার কাজ করছে। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজ পড়ে ও বৃষ্টির জেরে দু’টি ট্রান্সফারমার বিকল হয়েছে। কিছু জায়গায় তারের উপর গাছের ডালও পড়ে। ওই রাত থেকে এদিন দুপুর পর্যন্ত ২৫টি টিম কাজ করেছে। শহরের বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে।
শুধু শহর নয়, শিলিগুড়ি মহকুমার গ্রামীণ এলাকাতেও বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়। বাজ পড়ে মাটিগাড়া ও পাথরঘাটা এলাকায় বেশকিছু ইনসুলেটর বিস্ফোরণ হয়। যার জেরে কিছু গ্রাম বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। রাতভর পাথরঘাটা, কুপুরিয়া, নিশ্চিন্তপুর, পাথরকলোনি প্রভৃতি গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। এদিন বিকেলে কিছুক্ষণের জন্য গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ এলেও তা আবার উধাও হয়ে যায়। ফলে আবার অন্ধকারে ডুবেছে গ্রামগুলি।
গ্রামবাসীরা এনিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, রাতে বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ উধাও হয়। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামে বিদ্যুৎ আসেনি। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি যে কি কাজ কাজ করছে, তা বুঝতে পারছি না। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যদিও, বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির সাবারবার্ন ডিভিশনের দাবি, ওই রাত থেকে এদিন দুপুর পর্যন্ত ১৫টি টিম অভিযান চালিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করেছে। এদিন সন্ধ্যায় পাথরঘাটা এলাকায় আবার লাইনে কিছু ত্রুটি হয়। তা মেরামতি করার কাজ চলছে।
এদিকে ওই রাতে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে শিলিগুড়িতে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১২৬.৪ মিলিমিটার। এর জেরে শহর ও গ্রামের কিছু নিচু এলাকায় বৃষ্টির জল জমেছে। জমা জল বের করতে অভিযানে নেমেছে পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি।