আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের বক্তব্য, বর্তমানে যা পরিস্থিতি দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আলু ব্যবসায়ীদের হাতে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেই। কৃষক যাঁরা আলু উৎপাদন করেন, হিমঘর কর্তৃপক্ষ সকলের ভূমিকা রয়েছে। সেসঙ্গে ভিনরাজ্য ও আশপাশের জেলা থেকে চাহিদা তৈরি হলে আগামীতে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায় বলে জানিয়েছেন প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির জলপাইগুড়ি সদরের সম্পাদক দেবাশিস চক্রবর্তী।
দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এক ট্রাক আলু দেড় লাখ টাকায় কিনে হিমঘরে মজুত রেখে যে চাষি বা ব্যক্তি হিমঘরে থেকে রশিদ নিয়েছিলেন, সেই চাষির কাছ থেকে হিমঘরের আলু মজুত থাকা অবস্থায় অন্য ব্যক্তি ১ লক্ষ ৮০ টাকায় বন্ড পেপারটি কিনে নিচ্ছে। যারফলে একলাফে হিমঘরে মজুত আলুর দাম বেড়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি আলুর দাম ২৬ থেকে ২৭ টাকা। খুচরো বাজারে সেই আলুই বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পাইকারি বাজারে ঝিঙে প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, স্থানীয় টম্যাটো কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে এবং বেঙ্গালুরের টম্যাটো কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি কেজি দরে। এমন অবস্থায় আলু সহ সব্জির বাজারদর বেড়ে না যায়, সেটাই এখন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে দপ্তর।
দিনবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মলয় সাহা বলেন, আলু খুচরো বাজারে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একসঙ্গে পাঁচ কেজি কিনলে ২৮ টাকা দরেই দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় কিছু সব্জি টম্যাটো, পটল, ঝিঙে, কাঁচালঙ্কা, শসা সাম্প্রতিক বৃষ্টি ও প্রচণ্ড গরমের কারণে আগে তুলতে হয়েছে। তাই প্রভাব পড়েছে জোগানেও। তবে জেলা কৃষি বিপণন দপ্তরের আধিকারিক সুব্রত দে বলেন, আমাদের তরফে চেষ্টা চালানো হচ্ছে আলু সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব্জির দাম অযথা বৃদ্ধি না পায়। তারজন্য আমরা এদিন আলু ও সব্জি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। প্রশাসনের তরফে আবেদন জানিয়েছি ২৮ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতে।