জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, কৃষক বন্ধু প্রকল্পে রাজ্যের কৃষকরা বছরে দুই কিস্তিতে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট দশহাজার টাকা সাহায্য পান। এই প্রকল্পে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে এককালীন দু’লক্ষ টাকাও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে এবার বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুরে। অভিযোগ, কৃষকদের নামে কৃষক বন্ধু আইডি থাকলেও অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না টাকা। তাহলে কৃষকদের টাকা যাচ্ছে কার অ্যাকাউন্টে? শুক্রবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করতে গিয়ে কৃষকরা জানতে পারেন, তাঁদের টাকা ঢুকছে এলাকার নাবালকদের অ্যাকাউন্টে। এমনকী বিহারের অ্যাকাউন্টেও ঢুকছে টাকা। স্থানীয় কৃষক মহম্মদ মনসুর আলি বলেন, ‘আমার নামে কৃষক বন্ধু আইডি রয়েছে। সবার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলেও আমার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। একাধিকবার কৃষি দপ্তরের গিয়েও কোনও সমাধান হয়নি। পরে দপ্তর থেকে বলা হয়, টাকা ঢুকে যাবে।’ মনসুরের বিস্ফোরক অভিযোগ, অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখি, আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করে এক নাবালকের অ্যাকাউন্ট দেওয়া আছে। সেই নাবালকের অ্যাকাউন্টে ৫,০০০ হাজার টাকা ঢুকেছে। কীভাবে আমার অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন হয়ে গেল, কিছুই বুঝতে পারছি না।
চাষিদের অভিযোগ, দালালদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কৃষি দপ্তরের কর্মীরা। আখতার হোসেন নামে এক কৃষকের কথায়, এলাকার দালালদের হাতে রয়েছে শয়ে শয়ে অ্যাকাউন্ট। কৃষি দপ্তরে তাদের ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। টাকার বিনিময়ে একই পরিবারের ৫ থেকে ৬ জন নাবালকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে দিচ্ছে তারা। ওই দালালদের সঙ্গে কৃষি দপ্তরের কর্মচারীরদের একাংশ জড়িত। বঞ্চিত কৃষকরা শীঘ্রই নিজেদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। নাহলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।