জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
ভূতনির কোশি নদীতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা মানিকচক ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের জানান। ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১০০ মিটারের বেশি নদী তীরবর্তী এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে বলে গ্রামবাসীদের দাবি। ফলে বাঁধ থেকে মাত্র কয়েক হাত দূরে দুশ্চিন্তার প্রহর গুনতে হচ্ছে ভূতনির নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনের জন্য মালদহ সদর মহকুমা শাসককে ঘটনাস্থলে পাঠানো খোদ জেলাশাসক। সেচ দপ্তর ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে মহকুমা শাসক এলাকা ঘুরে দেখেন।
জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, মানিকচক ব্লকের ভূতনি এলাকায় দুর্বল নদীবাঁধ পরিদর্শনের জন্য মহকুমা শাসককে পাঠানো হয়েছিল। তাঁকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং বলেন, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় ফুলহর নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতেই কিছু জায়গায় নদী বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এরকম তিনটি জায়গা চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সেচ দপ্তরকে এদিন বলা হয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টি শুরুর আগেই কাজ শেষ করার জন্য আধিকারিকদের বলেছি। জেলাশাসকের নির্দেশমতো আমরা ত্রাণ ও উদ্ধারকাজের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।
মানিকচকের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশরপুর এলাকায় গত কয়েক দিনে ভয়াবহ ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে গ্রামের বহু বাড়ি সহ বিস্তীর্ণ অংশ। তবে সেই ভাঙন ছিল গঙ্গার। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুতেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে কোশি নদী। এদিন নদী তীরবর্তী এলাকায় গিয়ে দেখা যায় মুহূর্তের ভেঙে পড়ছে নদীপাড়ের বিস্তীর্ণ অংশ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গঙ্গা নদী শান্ত রয়েছে। তবে ফুলহরের জল কোশি নদীতে ঢুকে যাওয়ায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। পাশাপাশি, শিলিগুড়ি এবং পাহাড়ি এলাকার জল মহানন্দা হয়ে ফুলহরে মিশে যাওয়ায় জলস্রোত বেড়েছে। স্রোত এতটাই তীব্র যে নদীর পাড়ে থাকা জমি মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ছে। এলাকাবাসী সীতারাম মাহাত বলেন, যেভাবে জলের স্রোত রয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাঁধের গা ঘেঁষে বইবে কোশি নদী। সেচ দপ্তর বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতি থাকলে ভূতনিতে এবার বন্যা অনিবার্য।
এদিন কেশরপুর এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মালদহের সদর মহকুমা শাসক। তিনি এলাকাবাসী, সেচ ও ব্লক সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়াও ছিলেন মানিকচকের বিডিও অনুপ চক্রবর্তী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডল সহ সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র।