নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
এদিন সকাল থেকেই মালদহের বিভিন্ন রুটের বাসগুলিকে দেখা যায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রওনা হয়েছে গাজোলের দিকে। মানিকচক, রতুয়া, ইংলিশবাজার, বৈষ্ণবনগর, মোথাবাড়ি, কালিয়াচক সহ বিভিন্ন এলাকায় রোজ যাতায়াত করা অনেক বাসেরই এদিন দখল নিয়েছিল বিজেপি। এদিন যোগী আদিত্যনাথের সভায় বাস নিয়ে যাওয়ার একটি বড় দায়িত্ব ছিল বিজেপির যুব সংগঠনের কর্মকর্তাদের উপর। বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই তাঁরা বাস মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন।
বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শুভঙ্কর চম্পটি বলেন, ২০০টি বাস আমরা ভাড়া নিয়েছিলাম। এছাড়াও প্রচুর ছোট গাড়ি ছিল। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু বাস সভায় থাকলেও সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। বেশিরভাগ বাস মালদহেরই ছিল।
বাস মালিকদের একটি সংগঠনের অন্যতম কর্মকর্তা অনন্ত চক্রবর্তী বলেন, মালদহে কমবেশি ২৭০টি বাস রয়েছে। তারমধ্যে অনেক বাসই এদিন বিজেপির সভার জন্য ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ওই বাসগুলি বেশিরভাগই বিভিন্ন রুটের বাস। বাস-মালিকদের অপর একটি সংগঠনের কর্মকর্তা শোভন জোয়ারদার বলেন, জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভ তলানিতে ঠেকেছে। ফলে রাজনৈতিক সভা সমাবেশে একটু বেশি ভাড়া পেলে কিছুটা হলেও আর্থিক সুরাহার প্রত্যাশায় অনেকে বাস দিয়ে থাকেন।
এদিন বিজেপির সভায় প্রচুর বাস চলে যাওয়ায় ইংলিশবাজার সহ বিভিন্ন ব্লকে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায় যাত্রীদের। রাজ্য সরকার পোষিত এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মৌ চট্টোপাধ্যায় বলেন, একটি বড় রাজনৈতিক সভা হবে বলে শুনেছিলাম। তাই ঝুঁকি না নিয়ে অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশ খানিকক্ষণ আগেই রথবাড়িতে চলে আসি। কিন্তু বাস পেতে নাজেহাল হতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত রাজ্য পরিবহণ সংস্থার একটি বাসে কোনওমতে স্কুলে যেতে পেরেছি।
একই অভিজ্ঞতা মহম্মদ সামাউনের। ইটাহার থেকে অসুস্থ আত্মীয়ের প্যাথলজি টেস্ট করাতে তাঁকে নিয়ে মালদহে আসতে চরম সমস্যায় পড়েন তিনিও। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে বাস পেয়েছেন বলে তিনি জানান। অসুস্থ আত্মীয়কে নিয়ে চড়া রোদে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। একইভাবে বিভিন্ন ছোট রুটে চলাচলকারী মিনি ভ্যান সহ অন্যান্য গাড়িগুলিও গাজোলের সমাবেশের জন্য ভাড়া নিয়ে নেওয়ায় সমস্যা আরও বেড়ে যায় বলে একাংশ যাত্রী দাবি করেন।