অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
পুরাতন মালদহ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য চন্দনা হালদার বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা যাঁদের নেই, তাঁদের পুরসভার ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হবে। এব্যাপারে সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির উকিল মণ্ডল বলেন, পুরসভা কোথায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করেছে সেটা আমার জানা নেই। এনিয়ে পঞ্চায়েতকে কিছু জানানো হয়নি।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে যত পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন বা শহরের যেসব বাসিন্দা বাইরে থেকে ফিরবেন, তাঁদের প্রথমে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হবে। তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা না থাকলে তাঁরা পুরসভার ব্যবস্থাপনায় ওই সেন্টারে থাকবেন। সম্প্রতি পুরসভা শহরের কলেজ সহ তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিন রাজ্য ফেরতদের রাখার ব্যবস্থা পরিকল্পনা নিয়েছিল। তবে এলাকাবাসীদের বিক্ষোভে সে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই ভেস্তে যায়। কিন্তু লকডাউন শিথিল হতে না হতেই শহরে বাইরে থেকে ফিরতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। ফলে সেসব ভিন রাজ্য ফেরতদের নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেজন্য পুরসভা পঞ্চায়েত এলাকায় ফাঁকা জায়গায় ওই সেন্টারটি বানিয়েছে।
এবিষয়ে পুরাতন মালদহ পুরসভার পুর প্রশাসক কার্তিক ঘোষ বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে শহরে না ছড়ায়, তার জন্য আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন, তাঁদের জন্য পৃথক থাকার ব্যবস্থা করেছি। লোকালয় থেকে দূরে মাধাইপুর এলাকার একটি বেসরকারি বিএড কলেজ আমরা নিয়েছি। যাঁরা বাইরে থেকে ফিরবেন, তাঁদের সেখানে রাখা হবে। পুরসভা তিনবেলা খাবার ব্যবস্থা করবে। চিকিৎসার ব্যবস্থাও করবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের প্রায় ৪০০ জন বাসিন্দা ভিন রাজ্যে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সম্প্রতি কয়েকজন ফিরেছেন শহরে। হোম কোয়ারেন্টাইনে তাঁদের থাকতে বলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এখন হু হু করে বহু বাসিন্দা শহরে ফিরছেন। মালদহ জেলাজুড়ে গ্রামীণ এলাকায় করোনার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তবে শহরে এখনও অবধি কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে যেভাবে একের পর এক বাইরে থাকা মানুষ শহরে ফিরছেন, তাতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সেজন্যই ওই সেন্টার বানানো হয়েছে। সেখানে ২০০ জনকে রাখা যাবে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে শহরের গৌড় কলেজ, ওসমানিয়া হাই মাদ্রাসা এবং গৌরচন্দ্র ঘোষ বালিকা বিদ্যালয়ে ভিন রাজ্য ফেরতদের রাখার জন্য পুরসভা পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে যাবে বলে গুজব রটে যায়। বাধ্য হয়ে পিছিয়ে আসে পুরসভা।