হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
সিপিএমে সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ আগস্ট শাখা সম্পাদকদের পাঠদানের জন্য দলের প্রস্তুতি অনেক দিন আগে থেকেই চলছিল। কলকাতায় পার্টির প্লেনাম বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকেই পাঠচক্রের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কমিউনিস্ট (মার্ক্সবাদী) পার্টির নেতা-কর্মীদের অনেক বই পড়তে হয়। দলের বার্তা, ম্যানিফেস্টা সম্পর্কে জানতে দলের নেতা-কর্মীদের নানা ধরনের বই পড়তে হয়। ফলে দল, দলের নীতি ও আদর্শ সম্পর্কে কর্মীরা জানতে পারতেন। কিন্তু বর্তমানে নতুনরা বই পড়ায় আগ্রহ হারিয়েছেন। তাঁর এখন সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর হয়ে পড়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা করণীয় কাজ, নীতি আদর্শের পথ থেকে সরে গিয়েছেন। এক্ষেত্রে এই পাঠচক্র তাঁদের নতুনভাবে উজ্জীবিত করবে। পাঠচক্রের মাধ্যমে একজন শাখা সম্পাদকের কাজ কী, দলের জন্য তিনি কীভাবে কাজ করবেন, সংগঠনকে মজবুত করতে কী করতে হবে এমনি নানা বিষয়ে পাঠ দেওয়া হবে। এরিয়া কমিটির সদস্যদের এজন্য নোট দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই শাখা সম্পাদকদের পাঠ দেবেন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, তৃণমূল সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার মধ্যদিয়েই সিপিএমের রাজহনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকারে চলে গিয়েছে। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত, বিধানসভা ও লোকসভা একের পর এক নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হয়েছে। দলের নেতা-কর্মীরা অনেকেই দলবদলের হাওয়ায় শিবির বদল করেছেন। দীর্ঘ ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর সিপিএমের অনেক এলাকায় দলের ঝান্ডা ধরার কর্মীও নেই। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু হোঁচট খেয়ে আবার মুখ থুবড়ে পড়েছে। সাংগঠনিক কাঠামোর পরিবর্তন করে লোকাল ও জোনাল কমিটি ভেঙে এরিয়া কমিটি করেছে। বারবার শুদ্ধিকরণ করেছে। তারপরও একর পর এক নির্বাচনে ক্রমাগত খারাপ ফল হয়েছে। এবার তাদের নতুন দাওয়াই পাঠচক্র। সংগঠনের প্রথম ধাপ শাখা কমিটি, এই কমিটিই বুথস্তরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেশে, তারাই সরাসরি ভোটারদের সঙ্গে দলের সংযোগ করায়। তাই শাখা কমিটির মজবুতের জন্য যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন। এজন্য যাঁরা শাখা সম্পাদক হিসাবে আছেন তাঁদের সাংগঠনিক দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এগচ্ছে সিপিএম।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের পরাজয়ের সঙ্গেই উত্তর দিনাজপুর জেলায় শিবরাত্রির সলতের মতো জ্বলতে থাকা সিপিএমের প্রদীপ নিভে গিয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে অলিখিত জোট করে লড়েছিল তার পরেও হাতেগোনা কয়েকটি সিট পেয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যেই তারা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেও শোচনীয় ফলাফল করে। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫১৫ ভোট পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন সেলিম সাহেব। এবার তা কমে ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৩৫ ভোট হয়েছে।