সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে র’য়ের এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের লাসাদানা ধক এলাকায় ভূমি থেকে আকাশে হামলা চালাতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র বানাচ্ছে পাকিস্তান। এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে চীন ও পাক সেনার শীর্ষ আধিকারিকরা। নির্মাণস্থলে কাজ করছে ১৩০ জন পাক সেনা এবং ২৫-৪০ জন অসামরিক কর্মী। বাগ জেলার পাক ফৌজের একটি ব্রিগেডের সদরদপ্তরের সামনে এই কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম তৈরি হয়েছে। এই কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকবে তিন আধিকারিক সহ ১০ জন চীনা সেনা।
তবে শুধু লাসাদানাতেই নয়, গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ঝিলম জেলার চিনারি এবং হাতিয়ান বালা জেলার চকোতিতেও একইভাবে চীনা সহায়তায় ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র বানাচ্ছে পাকিস্তান। গত জুনে দু’দেশের সেনার মধ্যে বোঝাপড়া বাড়াতে বেজিংয়ে অবস্থিত চীন সেনার সদরদপ্তরে এক পদস্ত সেনা আধিকারিককে নিয়োগ করেছিল পাকিস্তান।
লাদাখে ভারত-চীন সংঘাতের পর থেকে সীমান্তে উত্তেজনার পারদ অনেকটাই চড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে চাপে ফেলতে চীন যে পাকিস্তানের সাহায্য নেবে, তা আন্দাজ করতে পেরেছিল নয়াদিল্লি। ফলে লাদাখ ছাড়াও অরুণাচল এবং পাক সীমান্তে তত্পরতা বাড়িয়েছিল ভারতীয় সেনা। বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ বলছে, ভারতের বায়ুসেনার আক্রমণ সামাল দিতেই পাকিস্তানকে সামরিক পরিকাঠামো তৈরিতে মদত দিচ্ছে চীন। যাতে প্রয়োজন পড়লে ভারত ভূখণ্ডে দ্বিমুখী হামলা চালাতে পারে তারা। কিন্তু, চীনের এই কৌশল মোকাবিলা করার ক্ষমতা যে ভারতের রয়েছে, তা স্পষ্ট জানিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান আর কে এস ভাদৌরিয়া। একই সুরে চীন ও পাকিস্তানের দ্বিমুখী হামলার আশঙ্কা থাকলেও ভারত কড়া জবাব দিতে তৈরি বলে জানান চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত।