বিশেষ সংবাদদাতা, আগরতলা: উত্তর এবং পশ্চিম ভারতে তাপপ্রবাহ অব্যাহত। উল্টোদিকে অতিবৃষ্টিতে ভাসছে উত্তর-পূর্বাঞ্চল। ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবের পর থেকেই যা চলছে। অসম-ত্রিপুরায় দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বন্যা, ভূমিধস। অসমে গত মে মাস থেকে চলা দুর্যোগে ইতিমধ্যে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মঙ্গলবার রাতেই করিমগঞ্জ জেলায় ভূমিধসে মারা গিয়েছে একই পরিবারের পাঁচ জন। ঘটনাটি ঘয়েছে বদরপুরের বন্দারঘোলের তাজুরাতল গ্রামে। প্রাণ হারিয়েছেন এক মহিলা, তাঁর তিন মেয়ে এবং তিন বছরের ছোট্ট ছেলে। বন্যা ও ভূমিধসের জেরে অসমের ১৯টি জেলায় প্রায় তিন লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৪৩টি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন ৫ হাজার১১৪ জন। 
করিমগঞ্জের এসপি পার্থপ্রতিম দাস জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার রাত পৌনে একটা নাগাদ বদরপুর থানার তাজুরাতল এলাকা থেকে ভূমিধসের খবর আসে। ঘটনাস্থলে যান বদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ, অন্যান্য পুলিস কর্মী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। প্রায় তিন ঘণ্টা পর পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করেন তাঁরা।’ ত্রিপুরাতেও অতিবৃষ্টির কারণে মনু, হাওড়া, খোয়াই নদীর জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। বিকল্প জাতীয় সড়কে ধস নামায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। এর মধ্যেই দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস। অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা চরমে।