উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
অন্ধ্রপ্রদেশে স্কুল খোলার তিন দিনের মধ্যেই এতজন পড়ুয়ার আক্রান্ত হয়ে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন অভিভাবরা। যদিও স্কুলশিক্ষা কমিশনার ভি চিন্না বীরভদ্রুদের বক্তব্য, এই পরিসংখ্যান মোটেও আতঙ্কের নয়। তাঁর দাবি, গতকাল প্রায় ৪ লক্ষ পড়ুয়া স্কুলে এসেছিল। যে ২৬২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, তারা মোট পড়ুয়ার ০.১ শতাংশও নয়। স্কুলে আসার কারণে তারা আক্রান্ত হয়েছে, একথা বলাও সঠিক নয়। স্কুলের প্রতিটি ঘরে যাতে ১৫ থেকে ১৬ জনের বেশি পড়ুয়া না থাকে, আমরা তা নিশ্চিত করেছি। পাশাপাশি ১ লক্ষ ১১ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬০ জন। আমাদের কাছে পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকা, সবার জীবনই গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৫০ হাজার ২১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, টানা ১০ দিন পর ফের ৫০ হাজারের উপর উঠল দৈনিক সংক্রামিতের সংখ্যা। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৮৩ লক্ষ ৬৪ হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭০৪ জনের। এর ফলে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৩১৫। তবে আশার কথা হল, দেশে সুস্থতার হার আরও বেড়ে হল ৯২. ২০ শতাংশ। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৭ লক্ষ ১১ হাজার ৮০৫ জন। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা আরও নিম্নমুখী হয়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৬২।
দেশজুড়ে সুস্থতার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হলেও নতুন করে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করেছে দিল্লিতে। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল দাবি করছেন, রাজধানীতে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। রোজই ভেঙে যাচ্ছে আগের রেকর্ড। এই অবস্থায় রাজধানীর পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার অসন্তোষ প্রকাশ করল দিল্লি হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের দুই সদস্যের বেঞ্চ এদিন বলেন, শীঘ্রই দেশের ‘করোনা রাজধানীতে’ পরিণত হতে পারে দিল্লি। কেজরিওয়াল সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট।