হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
এদিকে, কেরলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৫। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত রাজ্যের একাধিক এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ফলে, বিস্তীর্ণ এলাকায় স্বাভাবিক জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। উত্তর কেরলের মালাপ্পুরম, কান্নুর, কোঝিকোড় জেলায় লাল সতর্কতা জারি রয়েছে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক থাকায় বুধবারও রাজ্যের ১১টি জেলার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। এই মুহূর্তে আবহাওয়া নিয়ে কোনও ভালো খবর দিতে পারেননি হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা। আগামী কয়েকদিন রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন তাঁরা। এই অবস্থায় মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভিজিনজামের কাছে মত্স্যজীবীদের একটি নৌকো উল্টে গিয়েছে বলে খবর। প্রশাসন জানিয়েছে, এই ঘটনায় একজন ডুবে গিয়েছেন এবং তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সকলের কাছে আর্থিক সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এই নিয়ে তামিল ভাষায় একটি পোস্টও করেন তিনি। উল্লেখ্য, কেরলকে সাহায্য করার কোনও দরকার নেই বলে বিভিন্ন মহলে প্রচার চলছে। এই প্রচারের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন পিনারাই। ট্যুইটারে তিনি বলেন, ‘কেরলকে সাহায্য করার দরকার নেই বলে কয়েকজন মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কেরলবাসীকে আপনারা সাহায্য করুন। কম হোক বা বেশি, যতটা সম্ভব সাহায্য করে আমাদের পাশে দাঁড়ান।’
অপরদিকে, কর্ণাটকে এদিন আরও চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বিধ্বংসী বন্যায় এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৫৮ জন প্রাণ হারালেন। তবে, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। উপদ্রুত এলাকায় আরও দ্রুত ত্রাণ পৌঁছে দিতে রাস্তাঘাট সারানোর কাজে হাত লাগিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য ও কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা দল যৌথভাবে প্রায় ৭ লক্ষ মানুষকে উদ্ধার করেছে। রাজ্য সরকার বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, বন্যার জেরে রাস্তা, ট্যাঙ্ক, পাইপলাইন, স্কুল ও বিদ্যুত্ পরিবহণের পরিকাঠামো সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৪৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন মহারাষ্ট্রে। তবে, কোলাপুর ও সাংলির পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। পাঁচগঙ্গা নদীর জল এদিন বিপদসীমার নীচ দিয়েই বইছে। এদিকে, বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রের থেকে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানান, কেন্দ্রের থেকে ৬ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য চাওয়া হবে।